ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করেছিল ২০০০ সালের ২৬ জুন। সেই সময় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরি। আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল হক। বিসিবির তৎকালীন দুই শীর্ষ ব্যক্তির চেষ্টা, পরিশ্রম আর দক্ষতা–ই টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিল। তবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ছিলেন না দুই জনের কেউই।
এদের মধ্যে অবশ্য সাবের হোসেন চৌধুরি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন তিনি। যে কারণে তার পক্ষে উপস্থিত হওয়া সম্ভবও ছিল না। তবে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক বিদেশে জীবনযাপন করলেও বর্তমানে ঢাকাতেই আছেন। এ ছাড়া তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সেভাবে নেই বলেই জানে ক্রীড়াঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ। এরপরও বিসিবি’র অনুষ্ঠানে আসেননি তিনি, এমনকি দাওয়াতই পাননি।
টেস্ট স্ট্যাটাসের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের একদিন পর আজ (শুক্রবার) সৈয়দ আশরাফুলের হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জবাবে তার কণ্ঠে আক্ষেপই ঝরেছে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, খারাপ তো লাগছেই। আমার কাছে মনে হয় যে শুধু আমি কেন, বোর্ডের আরও অনেকে সদস্যই ছিল ওই সময়, যাদের সবাইকে ডাকা উচিৎ ছিল। আমরাই তো অনেক চেষ্টা করার ফলে টেস্ট স্ট্যাটাসটা পেয়েছিলাম। আমাদেরকে না ডেকে তারা নিজেরাই সেলিব্রেট করল ঠিক আছে। এখন কেউ যদি তার বাসায় দাওয়াত না দেয় তাহলে তো মন খারাপ করে বসে থাকলে চলবে না।’
এরপর বাংলাদেশে কাউকে ‘প্রাপ্য স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়কে নিয়মে পরিণত করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আশরাফুল, ‘শুধু আমি কেন, আমার অনেক সহকর্মীও দেশে ছিল। আমি অবশ্যই অবাক হয়েছি এমন সিদ্ধান্তের কারণে। আমাকে কেউ ফোন করেনি, কেউ বলেওনি, শুধু টেলিভিশনে দেখেছি। এই দেশে কেউ কারও স্বীকৃতি দিতে চায় না, এটাই নিয়ম আসলে।’
এর আগে বিসিবির অনুষ্ঠান শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে আশরাফুল হককে স্মরণ না করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। উপদেষ্টার পাশে দাঁড়ানো বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তার ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘আমরা একেবারে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠানটি করেছি। সেই দলে যারা ছিল, কোচ ও ম্যানেজার তাদেরকে আমরা দাওয়াত দিয়েছি। এর পরের স্টেজে গেলে আরও অনেক লোক আসবে, কয়েক হাজার হয়ে যায়। এটা একটা লিমিটেশন (সীমাবদ্ধতা)। তাদের (তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক-সভাপতি) আমরা অবশ্যই স্মরণ ও শ্রদ্ধা করি।’