বিনোদন ডেস্ক-
বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। করোনা মহামারির সময় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় তিনি। পর্দার ভিলেন এখন বাস্তবের হিরো।
এক সাক্ষাৎকারে সোনু জানান, এক সময় খুব কাছ থেকে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট দেখেছেন, সেটিই তাকে তাদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
এই অভিনেতার ভাষায়, ‘যখন আমি মুম্বাইয়ে আসি, ট্রেনে ভ্রমণ করতাম এবং কোনো রিজার্ভেশন ছিল না। নাগপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ও রিজার্ভেশন ছাড়াই বাস ও ট্রেনে ভ্রমণ করতাম। তখন রাস্তার পাশে শ্রমজীবী মানুষের দৃশ্যগুলো আমাকে খুব যন্ত্রণা দিতো। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম— ঘরে বসে থেকে এগুলো দেখবো না।’
সোনু বলেন, “আমার মা সবসময় বলতেন, ‘যদি অন্যকে সাহায্য করতে না পারো তাহলে নিজেকে সফল মনে করো না।’ আমার মা-বাবার সেই শিক্ষা এখনো আমার মধ্যে আছে, এ কারণেই এগুলো করছি।’
সোনুর ছোট বোন মালবিকা সুদ বলেন, ‘যখন আমার ভাই নাগপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন তখন ট্রেনের টয়লেটের সামনে ফাঁকা জায়গায় শুয়ে বাড়ি ফিরতেন। বাবা টাকা পাঠাতেন কিন্তু তিনি যতটুকু সম্ভব সঞ্চয় করতেন। বাবার কঠোর পরিশ্রমের মূল্যায়ন করতেন। মু্ম্বাইয়ে যখন মডেলিংয়ের চেষ্টা করছিলেন তখন যে ঘরে থাকতেন সেখানে ঘুমানোর সময় পাশ ফেরানোর জায়গা ছিল না। পাশ ফেরার জন্য উঠে দাঁড়াতে হতো। এই কারণেই হয়তো তিনি এখন শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ অনুভব করতে পারছেন।’
তিনি জানান, সোনু তার দুঃখের কথা কখনোই তাদের বলতেন না। মালবিকা বলেন, “যখন তার প্রথম সিনেমা মুক্তি পেলো, তখন তিনি বাড়িতে এসে বলেন, ‘আজ আমি সিটে বসে এসেছি, অনেক ভালো লাগছে।’ তখন তিনি আমাদের প্রথম জানান, ট্রেনের টয়লেটের সামনে কাগজ বিছিয়ে শুয়ে বসে বাড়ি ফিরতেন।”
বিএসডি/এমএম