ক্রীড়া ডেস্ক,
চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচিং স্টাফদের নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । বিশ্বকাপের পর তাদের নিয়োগ আরো এক বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা বিসিবির।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রোববার মিরপুরে নিজেদের পরিকল্পনা গণমাধ্যমে জানান। বোর্ড প্রধান বলেন, ‘কোচদের মেয়াদ নিয়ে আসলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। উনাদের মেয়াদ এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত আছে। আমরা এখন এক বছর বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছি। সামনে দুটো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, আপাতত এই দুটো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই আমাদের মাথায় আছে। তারপর সবার সাথে কথা বললে আরও বুঝতে পারব।’
এরই মধ্যে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে ২০২২ অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বাকিদেরও একই প্রক্রিয়ায় চুক্তি নবায়ন করার পরিকল্পনা দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
সেই তালিকায় আছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নিক লি।
২০১৯ সালের ৭ আগস্ট বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) কোচ হিসেবে সাক্ষাৎকার দিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন এ দক্ষিণ আফ্রিকান। তার প্রোফাইলে উচ্ছ্বসিত হয়ে বিসিবি থেকে দেওয়া হয় জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব। বেতন ধরা হয় মাসিক ১৫ হাজার ডলারের মতো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট হজম করে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে হার। এরপর ভারত ও পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজে একেবারেই বাজে পারফরম্যান্স বাংলাদেশের। তিনটি টেস্টই হেরেছে বাজেভাবে।
যদিও দিল্লিতে বাংলাদেশ তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের একটি ম্যাচে হারিয়েছিল ভারতকে। এরপর জিম্বাবুয়েকে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ, পরে জিম্বাবুয়েকে টেস্ট ম্যাচেও হারায়। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দেশের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টিতে হারলে কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়। এরপর শ্রীলঙ্কায় একটি টেস্ট ড্র করে এবং শেষটিতে হারে। তবে সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তিনটি ফরম্যাটের সিরিজই দাপটের সঙ্গে জেতে বাংলাদেশ এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারায়।
ডমিঙ্গোর অধীনে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলে ২১টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। জয় ২৫টিতে। টেস্টে ১০ ম্যাচ খেলে দুইটিতে জয়, ১৫ ওয়ানডেতে ১১টিতে এবং ২২ টি-টোয়েন্টিতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
বিএসডি/আইপি