অনলাইন ডেস্ক
একবার এক ডাক্তার বিরাট এক ঝামেলার মধ্যে পরে গেল। রোগীর লোকজন ডাক্তারকে ঘিরে ধরে আছে। যেমনেই হোক ডাক্তার সাব আমাদের রোগীকে ঘুম পাড়ায় দেন।
.
ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইঞ্জেকশন সব শেষ। তবু রোগীর ঘুম আসে না। ডাক্তার পড়ে গেলেন মহাফাপরে। এদিকে রোগীর লোকজনও নাছোড়বান্দা।
.
অনেক চিন্তা করে ডাক্তার সাহেব জিগাইলেন :
– আচ্ছা রোগী করে কি? মানে পেশা কি?
– কিছু করে না স্যার। ছাত্র মানুষ। কি আর করবে। পড়াশুনা করে।
– ওওও। আচ্ছা ঠিকাছে।
.
তারপর ডাক্তার সাহেব একটা বই বের করলেন। কঠিন দেখে একটা প্রশ্ন খুঁজে রোগীকে বললেন দশ মিনিটের মধ্যে এটা মুখস্থ করে আমাকে শোনাও।
ঠিক দশ মিনিটের মাথায় রোগীর নাক ডাকার শব্দ শোনা গেল।
.
রোগীর লোকজন তাজ্জব। কয় : ডাক্তার সাব, ক্যাম্নে কি?
ডাক্তার মুচকি হেসে কইলো : আমিও এক প্রকার ছাত্র। ঘুম কখন আসে ভালো করেই জানি।
……………………
পাগলের হাসপাতাল। নতুন ডাক্তার জয়েন করেছেন। এক পাগল গেল নতুন ডাক্তারের সাথে আলাপ আলোচনা করতে।
.
অনেক কথাবার্তার পর পাগল কয় :
– ডাক্তার সাহেব আপনি খুব ভালো। এর আগে যিনি ছিলেন একদম পঁচা।
– কেন? ভাল মনে হইলো কেনো? ( খুশি মনে)
– আপনাকে কিছুটা আমাদের মতোই মনে হইলো তো তাই।
.
ডাক্তারের আক্কেলগুড়ুম।
…………………….
ডাক্তার রোগীরে কইলো :
– আপনার সমস্যা কি?
– আমার সমস্যা হইলো কইলজার গোড়া বিষায়।
ডাক্তারের ভ্রু কুঁচকে গেল। কইলো :
– আচ্ছা কইলজা কই থাকে বলেন দেখি?
– ডাক্তার সাব, একটা গান শোনেন নাই?
আবারো ভ্রু কুঁচকে গেল ডাক্তারের।
– কোন গান?
– আমার বুকের মধ্যখানে,
মন যেখানে, হৃদয় সেখানে।
ওই কইলজাও ওইখানে।
.
ডাক্তারের আক্কেলগুড়ুম।
আমির আজম
সাবেক ইন্টার্ন চিকিৎসক, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।