ফিচার ডেস্ক-
রসুন ছাড়া কোনও রকমের রান্না অকল্পনীয়। শুধু রান্নাতেই নয় বরং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক ব্যাবহার দেখা যায়। রসুন মধ্য এশিয়ার একটি উদ্ভিদ। রসুন নানা ভাবে খাওয়া যায়, কাঁচা, মশলা, রসুনের তেল, এছাড়াও গুড়ো করে। বাঙ্গালীদের রান্নার প্রাণ যদি রসুনকে বলা হয় তাহলেও দোষ হবেনা।
তবে স্বাস্থ্যের জন্য রসুন সব থেকে বেশি উপকারী। অনেকে সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানি দিয়ে রসুন খেয়ে থাকেন। কিন্তু যাদের এভাবে খেতে অপছন্দ তারা রসুন খেতে পারবেন ভিন্ন আঙ্গিকে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকার কারণে অনেকে সাধারণত সব ধরনের চা পান করতে পারেন না।
রসুন চায়ে কোনও ধরনের ক্যাফেইন থাকে না, তাই যে বা যারা নিজের খাবারের তালিকা থেকে ক্যাফেইনকে দূরে রাখতে চান তাদের জন্য রসুনের বিকল্প নেই। তাছাড়াও রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মেটাবোলিজম ঠিক রাখে।
রসুন চা বানানোর জন্য একটি প্যানে এক কাপ পানি গরম করতে হবে। পানি গরম হলে তাতে কিছু আদা কুচি, কয়েকটা গুল মরিচ, এবং ১ চামচের মতো রসুন পেস্ট দিতে হবে। ৫ মিনিটের মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। অতঃপর, নামিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে। স্বাদ বৃদ্ধির প্রয়োজন মনে হলে তাতে মধু, লেবু, এবং দারুচিনি গুড়ো মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও রসুন চায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে –
(১) শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিড হোমোসিস্টাইনের পরিমাণ কমিয়ে আনে; যা ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।
(২) রসুন চা হলো শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক পানীয়; যা রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম উদাহরণ।
(৩) ডায়াবেটিসের কারণে শরীরে অনেক সময় জ্বালা পোড়া হয় যা দূর করতে পারে রসুন চা।
(৪) কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে আনে।
(৫) রসুনে রয়েছে ভিটামিন-সি, যা শরীরের কর্মদক্ষতাকে বুস্ট করে এবং শরীরের অঙ্গ গুলোকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে।