ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিটো ডায়েট তাদের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকে মনে করি ডায়াবেটিস হলে আমরা অনেক কিছুই খেতে পারবো না। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। একসঙ্গে বেশি না খেয়ে আমাদের অল্প অল্প করে বেশি খাবার খেতে হবে। তবে মিষ্টি বা কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কোমল পানীয় রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান বলেন, এমন খাবার খেতে হবে যেখানে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। শাক-সবজি ও কাঁচা ফলমূল খেতে হবে আর সাথে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। আবার অনেকে মনে করে ভাত খাওয়া যাবে না। শুধু রুটি খেতে হবে। এটিও ভুল ধারণা। ভাত বা রুটি দুটিই খেতে পারবে। কারণ দুটিই শর্করা জাতীয় খাদ্য। তবে তা পরিমাণমতো খেতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক ডায়েট প্রচলিত আছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে সবচেয়ে উপকারী ডায়েট হলো ভেজিটেরিয়ান ডায়েট। এই ডায়েটে শাক-সবজির পরিমাণই বেশি। আবার অনেকে চর্বি জাতীয় ডায়েটের কথা বলছেন। কিন্তু এটি ঠিক নয়।
অধ্যাপক জামান বলেন, খারাপ ডায়েট হলো কিটো ডায়েট। তবে যারা দু-এক মাসের মধ্যে ওজন কমাতে চায়, তাদের জন্য এটি ভালো। কিন্তু যারা ডায়েবেটিসের রোগী তাদের জন্য কিটো অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কারণ গবেষণায় এসেছে- তাদের কিডনি নষ্ট হতে পারে ও আয়ু কমে যেতে পারে। তাই ডায়েবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ডায়েট প্ল্যান করা উচিত না।
তিনি বলেন, আমার প্রথম মেডিকেলের টেক্সট বুক অনুসরণ করবো। মেডিকেলের কোনো বইতে বা কোনো জার্নালে বা রিসার্চে কোথাও ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের জন্য কিটো ডায়েটের কথা উল্লেখ নেই। টাইমস অব ইন্ডিয়া এক গবেষণায় ডায়াবেটিসের জন্য কিটো ডায়েটকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আর ভেজিটেরিয়ান ডায়েটকে সর্বোৎকৃষ্ট ডায়েট বলা হয়েছে। তাই আপনারা স্যোশাল মিডিয়ার এসব ডায়েট প্ল্যানকে অনুসরণ করবেন না। ডায়েট প্ল্যান করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।