ডিআইইউ প্রতিবেদকঃ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের বিতর্কিত শিক্ষার্থী লিমন সরকার ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি (ডিআইইউসাস)৷
শনিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুছা মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান
এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি৷ সেই সংবাদের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের বিতর্কিত শিক্ষার্থী লিমন সরকারের নির্দেশে তার অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে এবং প্রাণনাশের হমকি দেয়।
সিএসই বিভাগের এমএসসি -২৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহীন ও আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাবরীজ এসব কাজে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুছা মল্লিক বলেন, সাধারণ এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সংবাদ প্রকাশ করি৷ এ সংবাদের জের ধরে লিমন সরকারের মদদে তার অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের পাশাপাশি হুমকি দেয়৷ যা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হুমকি স্বরূপ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে জিডি করা হয়েছে। একইসাথে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে৷
এ বিষয়ে ডিআইইউসাসের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় ডিআইইউতে বিতর্কিত ছাত্রলীগকর্মীরা আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে৷ এ নিয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে ৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী লিমন সরকার জানান, আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে সত্য-মিথ্যা যাচাই করবে। তার অনুসারীদের হুমকি দেওয়া সম্পর্কে বলেন, আমি আমার কোন কর্মীকে এ ধরনের নির্দেশ দেইনা। কে কি বলছে বা হুমকি দেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
এ প্রসঙ্গে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএসডি/এফএ