নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫০ বছর আগে যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের জন্য পন্ডিত রবিশঙ্কর এবং জর্জ হ্যারিসনরা যখন তাদের দল নিয়ে বিশ্বজুড়ে কনসার্ট করে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন তখন কেউ কল্পনাও করেনি পরবর্তী অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে এই দেশটি হয়ে ওঠবে পৃথিবীর বুকে একটি বিস্ময়ের নাম। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এ মহেন্দ্রক্ষণে বিশ্বের কাছে আজ বাংলাদেশের পরিচয় এশিয়ার নতুন অর্থনৈতিক তারকা হিসাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। পৃথিবীর বুকে মর্যাদাবান জাতি হিসাবে গড়ে উঠে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন করার জন্য তরুণ বয়সে থেকেই অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রীর বয়ান থেকেই জানা গেছে, ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি তিনি পেয়েছেন তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই। দেশের গণমানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল জগতে প্রবেশ ও এর সঠিক ব্যবহারের বিকল্প নেই। এ বিষয়টি উপলব্ধি করে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সদস্য পদ গ্রহণ করানোর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কেবল স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। তথ্যপ্রযুক্তির বাহনে চড়ে দুরন্ত গতিতে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল সেবা।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিনির্ভর অর্থনীতির খোলস থেকে বেরিয়ে এসে শিল্পায়নের ছোঁয়ায় অর্থনীতির মজবুত ভিত গড়তে দেশে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিল্প নির্ভর ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যুৎ খাতকে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই বিদ্যুৎ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২০০৯ সালে যখন সারা দেশে সীমাহীন বিদ্যুৎ সংকট চলছিল, তখন বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণের অসম্ভব চ্যালেঞ্জকে মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা, স্বপ্ন ও ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় অনেকে হয়তো খুব বেশি আশান্বিত হতে পারেনি। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করেছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে। দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই স্থাপনাসহ রাজধানী ঢাকা শহরের অধিকাংশ জায়গায় এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকায় ডিপিডিসির দায়িত্ব এক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি। শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ করলেই হবে না, নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া। সেবক হয়ে গ্রাহকদেরকে সেবা করার মন-মানসিকতায় কাজ করে গ্রাহকদের নিকট ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিপিডিসি। ইতোমধ্যে প্রায় ৫, ৭০, ০০০ প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ৮.৫ লক্ষ গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় আনার জন্য প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। বিতরণ নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি, অটোমেশন এবং আধুনিকীকরণের জন্য নতুন নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
চীন সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন জি টু জি প্রকল্পের আওতায় ১৪টি ১৩২/৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ও ২৬টি ৩৩/১১ কেভি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ হবে। এছাড়াও ৮টি ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র ও ৪টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ক্ষমতাবর্ধন করা হবে এবং আধুনিক SCADA সিস্টেম প্রবর্তন করা হবে। এর ফলে গ্রাহক প্রান্তে মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হবে।
গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে ১১ কেভি ও ০.৪ কেভি লেভেল পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জি টু জি প্রকল্পের মাধ্যমে ধানমন্ডি এলাকায় এবং পাওয়ার সিস্টেম ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর গেট হতে বঙ্গভবন পর্যন্ত ভিআইপি রোডের আশেপাশের এলাকাসমূহ ও আজিমপুর হতে গাবতলী পর্যন্ত মিরপুর রোডের আশেপাশের এলাকাসমূহ ভূগর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে বিতরণ ব্যবস্থা নিরাপদ হবে, নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট হ্রাস পাবে এবং শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। ডিপিডিসির বিতরণ নেটওয়ার্কে স্মার্ট গ্রিড এবং ডিস্ট্রিবিউশন অটোমেশন সিস্টেম প্রবর্তনের জন্য পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিতরণ ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে, সিস্টেমকে রিয়েল টাইম মনিটরিং করা যাবে, সিস্টেমের পারফরম্যান্স উন্নত হবে, সিস্টেম লস হ্রাস পাবে, বিতরণ নেটওয়ার্কে কোন জায়গায় ফল্ট হলে দ্রুত তা চিহ্নিত করা যাবে। পাওয়ার সেক্টরে ডিপিডিসিই সর্বপ্রথম জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিষ্টেম) সিস্টেম প্রবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে সমস্ত বিতরণ নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় আনা হয়েছে এবং বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আরো নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও দ্রুত বৈদ্যুতিক ফল্ট নির্ণয় করে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ সহজে করা সম্ভব হচ্ছে। অটোমেটিক মিটার রিডিং (এএমআর) ব্যবস্থার মাধ্যমে এখন কেন্দ্রীয়ভাবে উচ্চচাপ গ্রাহকদের মিটার রিমোটলি মনিটরিং করাসহ মিটার রিডার ছাড়াই মিটার রিডিং রিমোটলি গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে।
গ্রাহকের যে কোন বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ডিপিডিসিই প্রথম পাওয়ার সেক্টরে কল সেন্টার চালু করে। ১৬১১৬ – এ নম্বরে কল করে যে কোনো গ্রাহক সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা ডিপিডিসির বিদ্যুৎ সেবা পেতে পারেন। সরু জনকীর্ণ জায়গায় মনো পোলে বিতরণ ট্রান্সফর্মার স্থাপনের মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে এবং গ্রাহককেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এই জাতীয় নানাবিধ ইনোভেটিভ ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রাহক সেবায় ডিপিডিসি কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে ডিপিডিসি গ্রাহকদের সকল বিলের তথ্য এখন মোবাইলে চলে যায়। বিল পরিশোধের জন্য এখন আর ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় না। গ্রাহকরা এখন নিজ ফোন বা রিটেইলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেন বা রিচার্জ করতে পারেন। গ্রাহকদের জন্য অভিযোগ, পরামর্শ জানতে কাস্টমার সার্ভিস এ্যাপ চালু করা হয়েছে। গ্রাহকরা মোবাইলের এ্যাপস থেকে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং এসএমএস ও ওয়েবসাইটের এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারছেন অভিযোগের বর্তমান অবস্থা। অভিযোগ নিষ্পত্তির পর গ্রাহক তার কাক্সিক্ষত সেবাটি নিয়ে ফিডব্যাক দিতে পারেন।
আরও দক্ষভাবে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ডিপিডিসি তার নিজস্ব জনবল দ্বারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অ্যাপস ও সফটওয়ার ডেভেলপ করছে। মোবাইল অ্যাপস ভিত্তিক গ্রাহক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা, ওয়েব বেজড স্টোর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, একাউন্টিং সিস্টেম, এইচআরএম, এসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ই-অকশন, ই-রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সংস্থাসমূহের জন্য বাস্তবায়িত সমন্বিত ইআরপি সিস্টেম এবং ইফাইলিং সিস্টেম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিপিডিসি ধীরে ধীরে একটি পেপারলেস সংস্থা হিসাবে পরিণত হচ্ছে। তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ডিপিডিসির ডাটা সেন্টার এবং নেটওয়ার্ককে মলিশাস আক্রমণ থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ডিপিডিসি সাইবার সিকিউরিটির উপরে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। সাইবার অ্যাটাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসাবে বর্তমানে ডিপিডিসিতে এসএসএল, এন্ট্রিলেভেল ফেয়ারওয়েল উইথ আইপিএস, সার্টিফিকেশন ফর ই মেইল কমিউনিকেশন, এন্টিভাইরাস, ক্লাউড বেইজড স্প্যাম ই মেইল ফিল্টার ইত্যাদি চালু রয়েছে। সাইবার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালীকরণের জন্য শীঘ্রই ডিপিডিসিতে সাইবার সিকিউরিটি পলিসি প্রণয়য় করা হবে। এছাড়াও নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল স্থাপন, ডব্লুএএফ ও ডিডিওএস ইকুইপমেন্ট স্থাপন, ভিএপিটি টেস্ট ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে আরও জোরদারকরণের জন্য ডিপিডিসি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পূরণে ডিপিডিসি কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে। নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে আরও দক্ষভাবে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে ডিপিডিসি সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। শীঘ্রই ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে বাংলাদেশে। এ প্রযুক্তির হাতে ধরেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পরিচালন ও সংরক্ষণ কাজে প্রয়োজন হবে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ব্লকচেইন, ডিপ-লার্নিং, রোবোটিকস, বিগডেটা অ্যানালাইসিস, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) অ্যাপ্লিকেশনের মতো নানাবিধ কাজ। ভবিষ্যতে ক্লাউড এর ব্যবহার, নেটওয়ার্ক পরিদর্শন ও সংরক্ষণ কাজে রোবট ও ড্রোনের ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে ডিপিডিসি নতুন মাত্রা যোগ করবে। অনাগত আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ডিপিডিসি এখন থেকেই জোর দিচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে ডিপিডিসির ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমকে সম্পূর্ণভাবে কমিউনিকেশনের আওতায় এনে ডিপিডিসিকে একটি মডার্ণ ও ডিজিটাল ইউটিলিটিতে পরিণত করার জন্য এএমআই বা অ্যাডভান্স মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেটওয়ার্ক স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এএমআই স্মার্ট গ্রিডের অংশ হিসাবে কাজ করবে এবং পরবর্তীতে এএমআই এর মাধ্যমে সকল ভোল্টেজ লেভেলের মিটারিং ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে এই কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এএমআই টেকনোলজি বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকের মিটারের সাথে সিস্টেমের উভয়মুখী যোগাযোগ স্থাপন হবে। এর ফলে গ্রাহকরা ওয়েব পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিদ্যুতের মিটার রিচার্জ, ব্যালেন্স দেখা, বর্তমান মাসের এবং পূর্ববর্তী মাসের বিদ্যুতের কনজাম্পশন দেখা, লোড প্রোফাইল এর তথ্যসহ আরও অনেক তথ্য দেখতে পারবেন। ডিপিডিসি তার বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়নের জন্য যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে তার পিছনে রয়েছে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন। সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন করাই হচ্ছে ডিপিডিসির মূলমন্ত্র। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিপিডিসির এই সকল ডিজিটাল কার্যক্রম সুফল বয়ে আনবে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় আর গ্রাহক সেবার মান হবে আরও উন্নত।
লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)