নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় আলেম সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ‘সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মেয়র কিংবা কাউন্সিলর কারও একার পক্ষে এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় এমপি ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডেই জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মসজিদের ইমাম বা খতিবরা শুক্রবারের জুম্মার নামাজের খুতবায় ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে আগত মুসল্লিদের উদ্দ্যেশ্যে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরো জোরদার করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি অব্যবহৃত জিনিসগুলো ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস অথবা নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমাদানকারীকে পুরস্কৃত করার কথা আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা, প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য পাঁচ টাকা হারে আর্থিক পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সুস্থতার জন্য সবাই মিলে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারী নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধিগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
বিএসডি/এমএম