আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনার অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার বিরুদ্ধে ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দেয় রাশিয়ার এক ডোজের করোনা টিকা স্পুটনিক লাইট। টিকা নেওয়ার তিন মাস পরও এই সুরক্ষা ভোগ করেন স্পুৎনিক লাইটের ডোজ গ্রহণকারীরা।
আর বুস্টার ডোজ হিসেবে এই টিকা গ্রহণ করলে ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার হার পৌঁছায় ৮৩ শতাংশেরও ওপরে। একই সঙ্গে, করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৯৪ শতাংশ কমাতে সক্ষম স্পুটনিক লাইট।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছে স্পুটনিক লাইট টিকার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গামালিয়া ইনস্টিটিউট। তাতে এই তথ্য এসেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার করোনা টিকা উদ্ভাবন প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)।
বুধবার এক বিবৃতিতে আরডিআইএফ জানিয়েছে, গামালিয়া ইনস্টিটিউটের এই গবেষণা প্রতিবেদন রাশিয়ার চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট মেডরিক্সিভে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে পিআর রিভিয়্যু পর্যায়ে আছে প্রতিবেদনটি।
করোনার প্রথম টিকা আবিষ্কারের কৃতিত্ব রাশিয়ার। ২০২০ সালের ১১ আগস্ট বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা স্পুটনিক ৫ উদ্ভাবন করে দেশটি। আরডিআইএফের অর্থায়নে এই টিকা প্রস্তুত করেছিল গামালিয়া ইনস্টিটিউট।
তার প্রায় ৯ মাস পর এক ডোজের করোনা টিকা স্পুটনিক লাইট বাজারে আনে গামালিয়া। এক্ষেত্রেও অর্থায়নের বিষয়টি দেখভাল করেছে আরডিআইএফ।
তবে বিশ্বের প্রথম করোনা টিকার উদ্ভাবক দেশ হলেও রাশিয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ ও এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা। তাছাড়া টিকা নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন- এমন মানুষের সংখ্যাও দেশটিতে প্রচুর।
পাশাপাশি, অনেক রুশ নাগরিক আছেন, যারা এমআরএনএ প্রোটিনভিত্তিক করোনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ডোজ গ্রহণ করতে চান।
তবে এতকিছুর পরও, বর্তমানে দেশটিতে টিকা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের পছন্দের শীর্ষে আছে এক ডোজের করেনা টিকা স্পুটনিক লাইট।
আরডিআইএফের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাশিয়ায় বর্তমানে টিকাদান কর্মসূচির যে চিত্র- তাতে আমাদের বিশ্বাস, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের প্রধান টিকা হয়ে উঠবে স্পুটনিক লাইট।’
সূত্র: রয়টার্স