আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে নিউজিল্যান্ডে প্রথম মৃত্যু হয়েছে। শনিবার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২০ জন। এসব ঘটনা ঘটেছে অকল্যান্ডে। এই দ্বীপকে এখন করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়ে বলছে, মৃত ব্যক্তি একজন নারী। তার বয়স ৯০এর কোটায় ছিল। তিনি নানাবিধ স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলেন। মধ্য ফেব্রুয়ারি পর তিনিই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যুই আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, কোভিড-১০ কতটা ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি আমাদের সমাজের। আমাদের দেশের প্রবীণরা এবং যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে তারা এই ভাইরাসের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ কারণে লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে এই ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করা যায়।
অকল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। এটাই সেখানকার সবচেয়ে বড় শহর। এখানে চতুর্থ মাত্রার লকডাউন আরোপ করা হয়েছে আগস্টের মধ্যভাগ থেকে। দেশের অন্য স্থানগুলোতে শিথিল করা হয়েছে বিধিনিষেধ। তবে স্কুল, অফিস, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ এবং সব সরকারি ভেন্যু এখনও রয়েছে বন্ধ। বেশির ভাগ নাগরিককে ঘরের ভিতরেই অবস্থান করতে অনুরোধ করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫০ লাখ। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৩৯২ জন। মারা গেছেন ২৭ জন।
বিএসডি/এএ