নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গির চরে সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষ বসবাস করেন। এ এলাকায় ১৯.১ শতাংশ গরিব মানুষ থাকেন। অন্যদিকে রাজধানীর পল্টনে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এই এলাকার মাত্র ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল-ভিত্তিক অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র ফুটে উঠেছে।
ঢাকার গরিব এলাকা
জরিপে দেখা গেছে, ভাষানটেকে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ, মিরপুরে ১২ দশমিক ২ শতাংশ গরিব মানুষের বসবাস। এমনকি রাজধানীর ধনী এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ গরিব মানুষ বসবাস করেন। এছাড়া দারুস সালামে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৯ দশমিক ৪, আদাবরে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ গরিব মানুষ বাস করেন।
ঢাকার ধনী এলাকা
তবে নিউমার্কেটে ১ দশমিক ৭, রমনাতে ৪ দশমিক ৪, মতিঝিলে ৩ দশমিক ৬, কোতোয়ালিতে ২ দশমিক ৯, গুলশানে ৩ দশমিক ২, গেন্ডারিয়ায় ২ দশমিক ৪, ধানমন্ডিতে মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ গরিব মানুষ বাস করে। ২০১৭ সালের ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা হলো দৈনিক আয় ২.১৫ ডলার। অর্থাৎ, দৈনিক ২.১৫ ডলারের কম আয় করা মানুষ দরিদ্র বলে গণ্য হবেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার ১৯.৬ শতাংশ। আর সামগ্রিকভাবে দেশের দারিদ্র্যের হার ১৯.২ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেশজুড়ে বিত্তশালী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তর অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে। দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলোকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ২০.৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে এই হার ১৬.৫ শতাংশ।