বিনোদন ডেস্ক:
অভিনেত্রী নুসরাত জাহান গত ২৬ অগাস্ট পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। মা হওয়ার ঠিক ১৫ দিন পর, শনিবার একসঙ্গে করোনার টিকা নিলেন ‘যশরত’। শুধু তাই না, ছেলে ঈশানের জন্ম সনদের খোঁজ নিতে এদিন কলকাতা পুরসভায় হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত।
এতদিন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় টিকা নিতে পারেননি নুসরাত। অন্যদিকে তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন প্রেমিক যশ। এদিন একইসঙ্গে কলকাতা পুর নিগম থেকে কোভিশিল্ড টিকা প্রথম ডোজ নেন তারা। এমনকি সেই ছবি দু’জনেই শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে।
যদিও সোশ্যাল পেজে একসঙ্গে ছবি পোস্ট করেননি তারা। নিজেদের প্রোফাইল থেকে আলাদা আলাদা পোস্ট করেছেন। নুসরাত ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দেরি হলেও ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কখনও বেশি দেরি করা উচিত না।’
অন্যদিকে যশের ক্যাপশনে লেখা, ‘এবার আমার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে…’
শনিবার টিকা নেওয়া ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন ‘যশরত’। ছেলে ঈশানের জন্ম সনদের খোঁজ নিতে কলকাতা পুরসভায় যান তারা। এমনকি কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক ববি হাকিমের ঘর থেকে বের হতে দেখা যান জুটিকে।
সেই সঙ্গে ছেলে ইশানের জন্ম সনদে শুধু মায়ের নাম রাখতে কী করণীয় সে সম্পর্কেও এদিন খোঁজ-খবর নেন নুসরাত। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ‘সিঙ্গেল মাদার’ শুধুমাত্র তার নিজের নামে সন্তানের জন্ম সনদ বের করতে পারেন। এদিন পুরসভা থেকে নুসরাতকে ওই কথা জানানো হয়েছে
এখনও পর্যন্ত নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি নুসরাত। নেটিজেনরাও একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিচ্ছেন সদ্য মা হওয়া নায়িকার দিকে। বারবার প্রশ্ন উঠছে নুসরাতের সন্তানের বাবা কে?
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই কটাক্ষের শিকার হতে শুরু করেন তিনি। তবে এত কটাক্ষ, নেগেটিভিটির মধ্যে অনেকেই সমর্থনের হাতও বাড়িয়ে দেন নায়িকার দিকে।
তাদের মতে, ‘স্বাধীন নারী’ কিংবা ‘সিঙ্গেল মাদার’ হওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী উদাহরণ নুসরাত জাহান। এদিকে একেবারে ‘কেয়ার নট’ অ্যাটিটিউড রেখেছেন নায়িকা। তিনি দিব্যি উপভোগ করছেন তার মাতৃত্ব। বলাই বাহুল্য সবাই এখন অপেক্ষা করছেন ছোট্ট অতিথির এক ঝলকের।
গত বুধবারের শহরের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নুসরাত। সেখানে প্রশ্ন ওঠে ঈশানের বাবার নাম নিয়ে। তবে সেদিন একেবারে হালকা মেজাজে হেসেই তার উত্তর, ‘সন্তানের বাবাই জানে বাবা কে। এই মুহূর্তে অভিভাবকত্ব উপভোগ করছি। আমি এবং যশ খুব ভাল সময় কাটাচ্ছি।’