বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ব্রেকিং নিউজ
ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করবে গুগলের এআই অ্যাপ
বিদেশিসহ ৬ শতাধিক কয়েদিকে ক্ষমা করলেন ওমানের সুলতান
ঈদের আগে মোট রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নেই
কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা : বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্ত কমিটি গঠন
গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল র‍্যাব
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
সৎ মা কারিনা ও বাবা সাইফকে বলিউডের সেরা দম্পতি বললেন...
গাজায় ঈদের আগের দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭০
বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ধর্ম ডেস্ক:
আরবি শব্দ তাকদির। এর শাব্দিক অর্থ হলো, নির্ধারণ করা, নির্দিষ্ট করা, ধার্য করা, নিয়তি, ভাগ্য, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। এই মহাবিশ্বের মহাসমারোহে ভবিষ্যতে যা কিছু ঘটবে, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বজ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী সেসব নির্ধারণ করে রাখাকে তাকদির বলে।

পৃথিবীর সব বস্তু তথা মানব-দানবসহ যত সৃষ্টি রয়েছে, সব কিছুর উত্থান-পতন, ভালো-মন্দ, উপকার-অপকার, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি কোথায়, কোন সময়, কিভাবে ঘটবে—আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে রেখেছেন। তাকদিরের বাইরে কোনো কিছু নেই। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জিনিসই তাকদির অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। এমনকি অক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তাও।’ (মুসলিম, রিয়াদুস সলিহিন. পৃষ্ঠা ২৮২)

তাকদিরে বিশ্বাস ঈমানের অন্যতম স্তম্ভ। এটি আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি করে। তাকদিরে বিশ্বাস মানুষের জীবনকর্মকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। বিশ্বাসী মানুষ নিজের সফলতায় গর্ব বোধ করে না। সে সফলতার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। সে মনে করে, সফলতা আল্লাহর নিয়ামত। এটি নির্ধারিত হয়েছে ভাগ্যলিখনের মাধ্যমে। তাই এর জন্য শুকরিয়া আদায় করতে হবে। সে মনে করে, কোনো কাজে সফল হলে অহংকারী হওয়া যাবে না। সুখের দিনে স্বৈরাচারী মনোভাব রাখা যাবে না। তার শক্তি হলো এ বিশ্বাস—আল্লাহ না চাইলে পৃথিবীর উপকরণ কোনো কাজে আসে না।

তাকদিরে বিশ্বাস মানুষের মনে শান্তি, স্বস্তি ও তৃপ্তি এনে দেয়। যখন সে বিশ্বাস করে কাজটি আল্লাহর সিদ্ধান্ত অনুসারে হয়েছে, তখন তার অন্তর পুলকিত হয়। এ জন্য ভাগ্যে বিশ্বাসী ব্যক্তির চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্য জীবন ও শান্ত মন অন্য কারো নেই। তাকদিরে বিশ্বাসী ব্যক্তি কোনো কাজে আশা পূরণ না হওয়ায় হাহুতাশ করে না। সে বিশ্বাস করে এসব আল্লাহর সিদ্ধান্তে ঘটেছে। ফলে বেদনা তাকে কুরে কুরে খায় না।

ভাগ্যে বিশ্বাসের ফলে দুশ্চিন্তা দূর হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন ঈমানদার ব্যক্তিকে দীর্ঘ ক্লান্তি, সাময়িক অশান্তি কিংবা দুঃখ-কষ্ট বা কোনো বেদনা স্পর্শ করে, এর ফলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন, এমনকি যদি সে কাঁটাবিদ্ধ হয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪১) তাকদিরে বিশ্বাসী মানুষ বিপদাপদের ব্যাপারে নির্ভীক থাকে। ঈমানদার ব্যক্তি বিশ্বাস করে, আল্লাহ কারো কল্যাণ চাইলে পৃথিবীর কেউ তা রদ করতে পারে না। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাকে কষ্ট-ক্লেশ দিলে তিনি ছাড়া তা মোচনকারী আর কেউ নেই। আর আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান, তাহলে তার অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ১০৭)

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ঈমানদারের জীবনাচার আশ্চর্য ধরনের। সব কিছুই তার জন্য কল্যাণকর। এ ব্যাপারটা ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো জন্য হয় না। তার কাছে যদি কল্যাণ পৌঁছে, তাহলে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এটা তার কল্যাণ বহন করে। আর যদি তার কাছে দুঃখ-কষ্ট পৌঁছে, তাহলে সে ধৈর্য ধারণ করে। এটাও তার জন্য কল্যাণকর।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)

তাকদির কি পরিবর্তিত হয়?
তাকদির বা ভাগ্যলিপি দুই প্রকার; যথা—১. তাকদিরে মুবরাম (অপরিবর্তনীয় ভাগ্যলিপি) ও ২. তাকদিরে মুআল্লাক (ঝুলন্ত ভাগ্যলিপি)। তাকদিরে মুবরাম কখনোই পরিবর্তিত হয় না। আর তাকদিরে মুআল্লাক বান্দার নেক আমল, দোয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়। হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, দোয়া আল্লাহর ফয়সালাকে পরিবর্তন করাতে পারে। আর নেক আমল বয়সকে বৃদ্ধি করাতে পারে।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ২১৩৯)

তাকদির কি মানুষের কাজের কারণ ও উপকরণ?
তাকদির মানুষের কাজের কারণ নয় এবং তাকদির লিপিবদ্ধ আছে বলে মানুষ ভালো-মন্দ ইত্যাদি কাজ করছে—বিষয়টি এমন নয়; বরং ভবিষ্যতে মানুষ যা করবে, আল্লাহ তায়ালা তা আগে থেকেই জানেন, ফলে তিনি তা আদিতেই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা আদিতে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন বলে মানুষ লেখা অনুযায়ী কর্ম করছে—এ কথা মোটেও ঠিক নয়। বরং আমরা কখন কী করব, কী খাব, কোথায় কী ঘটবে—এগুলো আল্লাহ তায়ালা পূর্ব থেকে জানেন। কারণ তিনি ইলমে গায়েবের অধিকারী। তাঁর পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী তা লিখে রেখেছেন। উদাহরণস্বরূপ—

১. একজন শিক্ষক পাঁচজন ছাত্রকে শিক্ষাদানের পর তার অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি যদি তার ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন যে অমুক ছাত্র ‘এ প্লাস’ পাবে, অমুক ছাত্র ‘এ’ পাবে, অমুক ছাত্র ‘এ মাইনাস’ পাবে, অমুক ছাত্র ‘বি’, অমুক ছাত্র ‘সি’ পাবে। এখন পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর যদি শিক্ষকের আগের লেখা অনুযায়ী ফলাফল হয়, তাহলে কি শিক্ষকের লেখার কারণে এই ফলাফল হলো? অবশ্যই না। তাকদিরের বিষয়টিও এমনই।

২. একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার রোগীর অবস্থা বুঝে অভিজ্ঞতার আলোকে তার ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন যে এই রোগী অমুক দিন, অমুক অবস্থায় মারা যাবে। কার্যত যদি তা-ই হয়, তাহলে ডাক্তারের লিখে রাখার কারণেই কি তার মৃত্যু হলো? নিশ্চয়ই না। ঠিক তেমনই আল্লাহ তায়ালা মানুষের অবস্থা আদি থেকেই জানেন বলে সব কিছু লিখে রেখেছেন। কিন্তু এই লিপিবদ্ধকরণ মানুষের কার্যের কারণ নয়। বরং কার্যের কারণ হলো তার ইচ্ছা। ফলে ব্যক্তির কজের জন্য সে নিজেই দায়ী।

তাকদিরের প্রতি ঈমানের স্বরূপ:
তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট থাকা ফরজ। তাকদিরে বিশ্বাসের অর্থ হলো

১. আল্লাহর ব্যাপারে এই বিশ্বাস রাখা যে তিনি আদি থেকে সব কিছুর ব্যাপারে ওয়াকিফহাল।

২. তিনি লাওহে মাহফুজে (সংরক্ষিত ফলকে) সব কিছু লিখে রেখেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকুল সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে সৃষ্টিকুলের তাকদির লিখে রেখেছেন।’ (মুসলিম) তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রথমে কলম সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর কলমকে বললেন—লেখো। কলম বলল, হে রব! কী লিখব? তিনি বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের তাকদির লেখো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭০০) আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তুমি কি জানো না যে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে আল্লাহ সব কিছু জানেন। নিশ্চয়ই এসব কিতাবে লেখা আছে। অবশ্যই এটা আল্লাহর কাছে সহজ।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৭০)

৩. আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু ঘটে না। তাঁর বাণী হলো, ‘আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা করেন এবং (যা ইচ্ছা) মনোনীত করেন।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৬৮)

৪. সব কিছুর সত্তা, বৈশিষ্ট্য, গতি, স্থিতি—সবই আল্লাহর সৃষ্টি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৬২) কোরআনের অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তিনি (আল্লাহ) সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে যথোচিত আকৃতি দান করেছেন।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২)

আরো ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে, তা-ই তার জন্য এবং সে যা কামাই করে তা তারই ওপর বর্তাবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৬)

আলী (রা.) থেকে আরো বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) বলেন, কোনো বান্দাই মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না চারটি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। তা হলো—১. এ সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং আমি তাঁর প্রেরিত রাসুল। ২. মৃত্যুতে বিশ্বাস করা, ৩. মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করা, ৪. তাকদিরে বিশ্বাস করা। (বায়হাকি)

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়া তাকদিরের বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। ফলে যে ব্যক্তি ঈমান আনে, কিন্তু তাকদিরে অবিশ্বাস করল, সে প্রকৃতপক্ষে একত্ববাদকেই অস্বীকার করল। (সূত্র : তাবলিগে দ্বিন, ইমাম গাজালি (রহ.) তাকদিরে অবিশ্বাসীদের রাসূলুল্লাহ (সা.) লানত করেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যদি কেউ আমার নির্ধারিত তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট না থাকে এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ না করে, তাহলে সে যেন আমি ছাড়া অন্য কাউকে রব বানিয়ে নিল। (বায়হাকি)

তাকদির প্রসঙ্গে বিতর্কের বিধান:
হাদিস শরিফে তাকদির প্রসঙ্গে বিতর্ক করতে বারণ করা হয়েছে। যেমন—হজরত ইয়াহইয়া ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবি মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হজরত আয়েশা (রা.)-এর দরবারে যান। তিনি তাকে তাকদির প্রসঙ্গে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তাকদিরের বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা করবে না, তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৪)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল (সা.) আমাদের কাছে এলেন, আমরা তখন তাকদির প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম। তখন রাসূল (সা.) প্রচণ্ড রেগে গেলেন। রাগে তার চেহারা আনারের মতো রক্তিম বর্ণ হয়ে গেল। তিনি বলেন, তোমরা কি এসব করতে আদিষ্ট হয়েছ? নাকি আমি এসবের জন্য প্রেরিত হয়েছি? এর আগের লোকজন এ বিষয়ে আলোচনা করে ধ্বংস হয়েছে, আমি তোমাদের দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, তোমরা এ বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৩৩)

তাকদিরের সঙ্গে তদবিরের সম্পর্ক:
কাজ সম্পাদন করার জন্য উপায়-উপকরণের সহযোগিতা নেওয়াকে তদবির বলে। তাকদিরের সঙ্গে তদবিরের কোনো সংঘাত নেই। কেননা তাকদিরের ওপর ঈমান আনার সঙ্গে কাজের ওপর তদবির করার কথাও লিখিত আছে। হাদিস শরিফে রয়েছে, জনৈক সাহাবি আরজ করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যে ঝাড়ফুঁক করে থাকি, চিকিৎসায় ওষুধ ব্যবহার করে থাকি কিংবা আত্মরক্ষার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে থাকি, তা কি তাকদিরের কোনো কিছুকে পরিবর্তন করতে পারে? প্রত্যুত্তরে রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের এসব চেষ্টাও তাকদিরের অন্তর্ভুক্ত। (বায়হাকি)

শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, তাকদির ও তদবিরের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কেননা তদবির তাকদিরের আওতাধীন। এর প্রমাণ হলো, ইয়াকুব (আ.) স্বীয় পুত্রদের মিসর পাঠানোর প্রাক্কালে অসিয়ত করেন, ‘হে আমার পুত্ররা! তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে…।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৬৭) এটি ছিল তদবির। পরে তাকদির প্রসঙ্গে বলেন, ‘…আল্লাহর বিধানের বাইরে আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারব না। বিধান আল্লাহরই।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৬৭)

ইয়াকুব (আ.) তাকদির ও তদবিরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূল (সা.) মানুষকে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন, তাকদিরের ওপর ভরসা করে বসে থাকতে নিষেধ করেছেন।

জন্ম, মৃত্যু, রিজিক, তকদির এসবই মহান আল্লাহ্‌র হাতে এবং এসবই মহান আল্লাহ্‌ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত। এটা শুধু মুখে না বলে অন্তরে বিশ্বাস করাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। যারা তকদিরে বিশ্বাস করে এবং হতাশ না হয়ে মহান আল্লাহ্‌র ওপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধারণ করে কোনো পাপ করে করে না বা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোনো অসাধু উপায় অবলম্বন করে না তাদের পরিচয়ও মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন এভাবে, বল, আল্লাহ্‌ আমাদের ভাগ্যে যা লিখেছেন তা-ই আমাদের হবে; তিনিই আমাদের অভিভাবক এবং মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভরশীল। (-সুরা তবা, আয়াত-৫১)।

তাই, আমাদেরকে আল্লাহ কর্তৃক তাকদিরের উপর বিশ্বাস করে কাজ করে যেতে হবে।

 

 

বিএসডি/আইপি

০ মন্তব্য
0
FacebookTwitterPinterestLinkedinWhatsappEmail
পূর্ববর্তী পোস্ট
রাতে হঠাৎ পায়ের শব্দ:দরজা খুলতেই পেলেন চিরকুটসহ টাকা
পরের পোস্ট
আলোর দিশা হাবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে সারোয়ার-মিহাদ

সম্পর্কিত পোস্ট

অনুমতি ছাড়া হজ পালন নিয়ে যা বললেন সৌদির...

জুন ১, ২০২৫

জিলহজের প্রথম দশকের আমল নিয়ে যা বললেন শায়খ...

মে ২৭, ২০২৫

শবে কদরের বিশেষ ৬ ফজিলত

মার্চ ২৭, ২০২৫

রমজানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মসজিদে নববী

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫

রাসূল (সা.) এর মদিনার জীবন যেভাবে কেটেছে

ডিসেম্বর ২, ২০২৪

প্রিয়নবী সা. যেভাবে তাসবিহ পাঠ করতেন

নভেম্বর ২০, ২০২৪

‘ইসলামী জিজ্ঞাসা’ অনুষ্ঠান শুরু করবে ইফা, উত্তর দেবেন...

নভেম্বর ১০, ২০২৪

মিজানুর রহমান আজহারীর ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক!

অক্টোবর ৮, ২০২৪

ইসলাম নির্ণয়ের মূলনীতি নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

অক্টোবর ৮, ২০২৪

জ্ঞান অর্জনের প্রতি উৎসাহ দিয়ে হাদিসে যা বলা...

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

মতামত দিন উত্তর বাতিল করুন

পরবর্তী বার মন্তব্য করার জন্য এই ব্রাউজারে আমার নাম, ইমেল এবং ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন।

জনপ্রিয় পোস্ট

  • 1

    মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

    সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
  • ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

    সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্রতা নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — আশা

    ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
  • সুখী হওয়ার সাইকোলজিক্যাল টিপস

    আগস্ট ১৮, ২০২১
  • ঘুরে আসুন রাতারগুলে মিঠাপানির বনাঞ্চল

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
  • আজই ঘুরে আসুন নিকলী হাওর

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
  • করোনা যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঢাবি – সাক্ষাৎকারে উপাচার্য

    আগস্ট ৩, ২০২১
  • 8

    অর্থ না থাকলে শুভাকাঙ্খীরাও পাশে থাকে না

    জুন ২৮, ২০২২

যোগাযোগ করুন

অফিস: ই ২২/৬ পল্টন চায়না টাউন ৬৭/১ নয়া পল্টন,ঢাকা -১০০০
ফোন: +8801675133344, +8801711356270
ওয়েবসাইট: bortamansomoy.com
ইমেইল: bartomansomoy@gmail.com

সম্পাদকদের বাছাই

  • আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

  • স্ত্রী ডিভোর্স দিলেই কি দেনমোহর বাতিল হয়ে যায়?

  • পুরাতন দত্তক আইনে অনিরাপদ এতিমদের ভবিষ্যৎ

  • করোনাকালে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ফেসবুকে সকল নিউজ পেতে লাইক করুন

Facebook
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy

© ২০২৩ বর্তমান সময় । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Developed By Deshi Hosting

bn Bengali
bn Bengalien English