স্টাফ রিপোর্টার:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তারুণ্যদীপ্ত উদ্ভাবনী শক্তি দ্রুত উন্নয়নে সহায়তা করবে। উপযুক্ত প্লাটফর্ম পেলে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারেও তরুণরা অবদান রাখতে পারবে।
বৃহস্পতিবার অনলাইনে টেকসই জ্বালানি বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারণা বিকাশে ‘বিকিরণ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবস্থা গড়তে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনে জ্বালানির দক্ষ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা রয়েছে। বছর ভিত্তিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তা সময় মতো বাস্তবায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনী ধারণা বিকাশে তাদের উৎসাহিত করতে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা), জিআইজেড-এর সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে ‘বিকিরণ’ শীর্ষক এই প্রতিযোগিতা।
আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রামাঞ্চলে টেকসই জ্বালানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং শিশু-কিশোরদের জ্বালানি সাশ্রয় বিষয়ে সচেতন করে তোলা এই তিন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আহ্বান করা হচ্ছে উদ্ভাবনীমূলক সমাধান।
বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২-৪ জনের দল তৈরি করে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে www.bikiron.org এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধিত উদ্ভাবনী ধারণাগুলোর মধ্যে সম্ভাবনাময় ধারণাগুলো প্রতিযোগিতার পরবর্তী পর্যায়ের জন্য উত্তীর্ণ হবে।
এ পর্যায়ে উত্তীর্ণ টীমগুলো টেকসই জ্বালানি খাতের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের সাহচর্যে ধারণাগুলোকে আরো সুগঠিত করার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আয়োজন করা হবে আরো কিছু ওয়েবিনার। প্রক্রিয়ার শেষে বিজয়ী দলগুলো আকর্ষণীয় পুরষ্কারসহ তাদের ধারণাগুলি বাস্তবায়নের জন্য কারিগরি সহায়তা পাবে।
বিএসডি/এমএম