নিজস্ব প্রতিবেদক
তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে বাদ দিয়ে দলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতিতে সম্প্রতি একজন স্থায়ী কমিটির সদস্যের বাসায় দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে এ বিষয়ে এক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির পাঁচজন সদস্য ছাড়াও এক সময়ের প্রভাবশালী বেশকিছু নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে সূত্র জানায়, দলে আপাতত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়া তার কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করলেও তিনি যে দল পরিচালনা করতে পারবেন না- এ রকম কোনো বিধান বিএনপির গঠনতন্ত্রে নেই। কাজেই খালেদা জিয়াই চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসে, দল পুনর্গঠন এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের যে শূন্য পদ রয়েছে- তা পূরণ এবং নতুন মহাসচিবের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন। যেহেতু খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আপাতত অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এ জন্য স্থায়ী কমিটির এক সদস্যকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
করোনার কারণে কোনো এক সময় সুযোগ বুঝে দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সেখানে খালেদা জিয়া যাকে মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করবেন এবং যাদেরকে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে নির্দেশ দেবেন কেবল তাদেরকেই রাখা হবে।
আরো জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি পর্যন্ত দলের কাউন্সিল দরকার নেই। খালেদা জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী দল চলবে। খালেদা জিয়ার মামলাগুলো এখন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য কোর্টে খালেদার সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করা হবে এবং সেখানে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
বিএসডি/এমএম