আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সকল বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মাঝেই অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে গোটা আফগানিস্তানের দখল নিয়ে গেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন তালেবানের যোদ্ধারা। এতেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিসহ অনেকেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে বর্তমানে তালেবানই শেষ কথা। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রবিবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকালে দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প দাবি করেন, আফগানিস্তানে বাইডেন যা ঘটতে দিয়েছেন, তার জন্য এখনই তার পদত্যাগ করা প্রয়োজন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও ঘরোয়া অভিবাসনসহ অর্থনৈতিক এবং জ্বালানি নীতি নিয়েও জো বাইডেনের ব্যাপক সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
দীর্ঘ দুই দশক পর আফগানিস্তান ফের তালেবানের দখলে চলে এসেছে। রবিবার তারা আফগান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্যসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও এর দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে কাবুলকে কব্জা করে নেয় তালেবান।
যদিও আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে তালেবানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। গুরুত্বপূর্ণ সেই চুক্তি অনুযায়ী- ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে দেশটি থেকে সব বিদেশি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সেনা প্রত্যাহারের দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়। পরবর্তীকালে সেই তারিখ আরও এগিয়ে এনে ৩১ আগস্ট ঘোষণা করা হয়।
যদিও এরপরও সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে জো বাইডেনকে বারংবার সমালোচনায় বিদ্ধ করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের দাবি, তিনি বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকলে এই সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া আরও সুন্দর এবং সফলভাবে সম্পন্ন হতো।
রবিবার অপর এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তানে জো বাইডেন যেটা করেছেন, সেটা আসলে অদ্ভুত একটি কর্মকাণ্ড। এটা আমাদের আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে লেখা থাকবে।
বিএসডি/এমএম