আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তালেবান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠককে প্রাণবন্ত ও পেশাদার বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে কথা দিয়ে নয়, কাজের মাধ্যমেই তালেবানকে বিচার করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় রোববার (১০ অক্টোবর) ওয়াশিংটন এই তথ্য জানায় বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
দীর্ঘ দুই দশক পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। এরপর ‘সম্পর্কের নতুন অধ্যায়’ সূচনার লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তানের নতুন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে গত শনিবার বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র। কাবুলে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই প্রথম বৈঠক।
এছাড়া তালেবান সরকারকে সম্পৃক্ত না করেই আফগান নাগরিকদের সরাসরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি নিয়েও উভয়পক্ষ আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে নেড প্রাইস বলেন, ‘(তালেবানের সঙ্গে) আলোচনা ছিল পেশাদার এবং প্রাণবন্ত। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র বারবারই একথা জানিয়ে দিয়েছে যে, কথা দিয়ে নয়, তালেবানকে বিচার করা হবে তাদের কাজের মাধ্যমেই।’
এর আগে ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসানের পর গত আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার এবং তালেবানের ক্ষমতায় পুনরুত্থানের পর শনিবার প্রথমবারের মতো দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবানের দু’দিনের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সিনিয়র তালেবান নেতাদের পাশাপাশি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা আমির খান মুত্তাকি উপস্থিত ছিলেন।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি গত বছর ওয়াশিংটনের সাথে তালেবানের স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন ছিল আফগান প্রতিনিধিদলের আলোচনার মূল বিষয়। গত বছরের ওই চুক্তির পর মার্কিন সৈন্য চূড়ান্ত প্রত্যাহারের পথ তৈরি হয়।
তিনি বলেন, আফগান প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। আফগানিস্তানের জনগণকে যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের টিকা দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবানের প্রতিনিধিদের বৈঠকের কথা রয়েছে।