আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
তালেবানের ওপর কোনো ধরনের আস্থা নেই উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, তারপরও জাতীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তাদের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, কাবুলে তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে যা কিছুই হোক না কেন, তা কেবল একটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হবে, তা হচ্ছে, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ। যদি কোনো বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ দৃশ্যমান হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা তালেবান সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত আছি। হিন্দুস্তান টাইমস।
তালেবান কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ মুহূর্তে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সাথে কাজ করার আগে নিজেদের স্বীকৃতির বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। বিভিন্ন দেশকে সহযোগিতার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি স্বীকৃতির দাবি জানাতে তারা ভুলছে না। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে- জানতে চাইলে মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈধতা ও সমর্থন অবশ্যই অর্জিত হতে হবে।
ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সম্পর্কে বিবৃতি নয় বরং কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেবে। এ সময় তিনি আবারো জোর দিয়ে বলেন, তালেবানকে নাগরিকদের চলাফেরার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। নারী ও সংখ্যালঘুসহ আফগান নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। অন্য রাষ্ট্রের জন্য কাজ করা নাগরিকদের ওপর প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে হবে।
বিভিন্ন সাংবাদিক সম্মেলনে তালেবানের একাধিক মুখপাত্র তাদের ভবিষ্যত সরকার কেমন হবে তার কিছু পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন। সবাইকে কর্মক্ষেত্রে ফেরার আহ্বান, সরকারি কর্মজীবীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, সহশিক্ষাবিহীন নারীদের উচ্চশিক্ষা অব্যাহত রাখা ইত্যাদি বিষয়ে তারা আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসহ বিদেশি সব সেনার প্রত্যাহারে বিজয় উদযাপন করেছে তালেবান। কাবুলের রাস্তায় ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তারা উল্লাস প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে বলেন, আফগানিস্তান এখন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, কারণ মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার হয়েছে।