ধর্ম ডেস্ক,
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত এবং পার্লামেন্ট স্থগিত করার কারণে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে তীব্র রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এমন সময় দেশটির জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওসমান জেরান্দির সাথে টেলিফোনে আলাপ করেন। এ সময় কাভুসোগলু তিউনিসিয়ার জনগণের প্রতি তুরস্কের সমর্থনের কথা জানান। খবর আনাদোলুর। টেলিফোন আলাপে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিউনিসিয়ায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে রোববার বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ স্থগিত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। প্রেসিডেন্ট সাঈদ বলেন, তিউনিসিয়া এবং তার নাগরিকদের রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল সেটিই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্নাহদা পার্টি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ আনেন। অপর এক খবরে বলা হয়, তিউনিসিয়ায় চলমান সংকটের মধ্যেই আগামী একমাসের জন্য কারফিউ জারি করলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। সেই সাথে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিচার মেচিচি-এর সরকারকে বরখাস্তের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিশৃংখলা ঠেকাতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিলেন প্রেসিডেন্ট। তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের সীমানা ছাড়িয়ে দেশের নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে অবৈধভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্লােগান দিচ্ছেন তার সমর্থকরা। এতে দেশজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ ঘোষণা করেন, ২৭ জুলাই হতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত কারফিউ চলবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউর ঘোষণা দেন তিনি। একইসাথে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ গত রবিবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। আগামী ৩০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পার্লামেন্ট। প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপকে বিরোধীরা ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে বিরোধী এবং আন্দোলনকারীদের এমন অভিযোগ নাকচ করেছেন প্রেসিডেন্ট সাঈদ। চলমান সংকট উত্তরণে তাদিগ দিচ্ছেন বিশ্বের অনেকে দেশের রাষ্ট্র প্রধান। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী অ্যান্থোনি ব্লিংকেন তিউনিসিয়ার গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলো মেনে চলার আহবান জানান।
রয়টার্স।
বিএসডি/আইপি