নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রায় ২ বছর (১ বছর ৯ মাস ৮ দিন) ধরে মনিরা খাতুনের পেটের ভেতর কাঁচি ছিল। অবশেষে ৩ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে পেট থেকে বের করা হলো কাঁচিটি। তবে এখনো জ্ঞান ফেরেনি তার। মনিরা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ঝুটিগ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা।
ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, ‘বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কারণ, কাঁচিটি প্রায় ২ বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করে কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাঁচিটি থাকার কারণে তার পেটের নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাই জ্ঞান ফেরা ও সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।’
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার দুপুরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মনিরার পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে ভর্তি হন মনিরা খাতুন। সাতদিন পর তার অপারেশন করা হয়। তখন মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বিএসডি/ এলএল