নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েক শ মানুষ। তাঁরা নিজেদের মধ্যে সিরিয়াল করছেন। সেই সিরিয়াল করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলও হচ্ছে। কেউ কেউ অভিযোগ তুলছেন যে পেছনে থাকা অনেক ব্যক্তির সিরিয়াল আগে হয়ে যাচ্ছে।
আজ টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার পর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন লাইনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলতে দেখা যায়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরাঞ্চলগামী আন্তনগর ও বী.মু.সি.ই (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এখানে মোট ১০টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়। তার মধ্যে মাত্র ১টি কাউন্টার নারীদের জন্য, ৯টি পুরুষদের জন্য। পুরুষের প্রতি কাউন্টারে কাল বিক্রি হতে যাওয়া অগ্রিম টিকিটের জন্য মানুষ আজই অবস্থান নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শাফিউল্লাহ। যখন আসেন, তখন তাঁর সিরিয়াল ছিল ৮৮ নম্বর। আজ তাঁর সামনে ১০ জনের মতো থাকতেই টিকিট শেষ হয়ে যায়। তিনি কাল টিকিট কাটার জন্য লাইনে থেকে গেছেন। এখন তাঁর সিরিয়াল নম্বর ২।
রিদয় হাসান বলেন, ‘এবার কোরবানির পশুবাহী গাড়ি চলাচল করবে। রাস্তায় অনেক যানজট থাকবে। তাই কষ্ট হলেও ট্রেনের টিকিট কাটব। সে জন্য আজকে সারা দিন ও রাত স্টেশনে থাকব। একবার ট্রেনের টিকিট পেলে যাওয়া সহজ হয়ে যাবে।’
বিএসডি/ফয়সাল