আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে জ্বলতে থাকা দাবানলে অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির উপকূলীয় এলাকার অবকাশ কেন্দ্রে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটকরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সোমবার (২ আগস্ট) তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনো দেশজুড়ে ১৩০টিরও বেশি দাবানল জ্বলছে আর সেগুলো নিয়ন্ত্রণের দমকল কর্মীরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া গ্রিস, স্পেন ও ইতালিতেও দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, গত ছয় দিন ধরে তুরস্কে দাবানলে পুড়ছে বিস্তৃত এলাকার বনাঞ্চল। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেশটির ভূমধ্যসাগর এবং আজিয়ান সাগরের উপকূল। এই এলাকা তুরস্কের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র।
সোমবার প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গেছে, উপকূলীয় অবকাশ কেন্দ্র থেকে পর্যটকদের নৌকায় করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে সম্পৃক্ত রয়েছে তুরস্কের কোস্টগার্ড।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, তুরস্কের প্রায় এক লাখ হেক্টর বনভূমি আগুনে পুড়েছে। তুর্কি মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, সোমবার মারমারিস ও কোয়েসেগিস শহরে বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ আবারও শুরু হয়েছে। মারমারিস শহরে আটকে পড়াদের উদ্ধারে উপকূলে রাখা হয়েছে জরুরি উদ্ধারকারী নৌকা।
আরও পড়ুন :রাশিয়ার ২৪ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র
রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছিল, তুরস্কের দাবানল নিয়ন্ত্রণে পানি ভর্তি বিমান পাঠানো হবে। ক্রোয়েশিয়া থেকে একটি আর স্পেন থেকে দুইটি বিমান পাঠানোয় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
বিএসডি/এমএম