আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, ‘বুধবার সফরে আসছেন সৌদি যুবরাজ। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব।’ তিনি বলেন, ‘তুর্কিয়ে ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ কোন পর্যায়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়টি স্থির করার সুযোগ আমাদের হবে, ইনশা আল্লাহ।’ এর আগে তুর্কিয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সফরের বাকি বিস্তারিত সপ্তাহান্তে সৌদি আরবের অঘোষিত (ডি ফ্যাক্টো) এই শাসকই জানাবেন।
এই সফরে দুই দেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। তীব্র মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলাতে পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের অংশীদারদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে তুর্কিয়ে। অন্যদিকে, তুর্কিয়ের সামরিক প্রযুক্তির দিকে নজর সৌদি আরবের।
ইতিমধ্যে এপ্রিলের শেষ দিকে সৌদি আরব সফর করেছেন এরদোয়ান। খাসোগি হত্যার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম সৌদি সফর। মক্কায় ওমরাহ পালন করতে যাওয়ার আগে তিনি সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ২০১৮ সালে খাসোগিকে ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করে ফেলেন। এখন পর্যন্ত তাঁর দেহাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি। খাসোগি ওয়াশিংটন পোস্টে লিখতেন।
তুর্কিয়ে ওই সময় মামলাটি জোরেশোরে চালিয়ে সৌদি আরবকে ক্ষুব্ধ করে। আঙ্কারা ঘটনাটি তদন্ত করে এবং হত্যার বীভৎস বর্ণনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে তুলে ধরে। অতীতে এরদোয়ান বলেন, সৌদি সরকারের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের’ নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যদিও তিনি এ জন্য কখনো মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করেননি।
সম্পর্কের বরফ গললে খাসোগি হত্যায় ২৬ সৌদি সন্দেহভাজনের অনুপস্থিতিতে চলা বিচারকাজ স্থগিত করে ইস্তাম্বুলের একটি আদালত। পরে গত এপ্রিলে মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তর করা হয়।
বিএসডি/ এমআর