ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একজন যোদ্ধা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতিও। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেককে যোদ্ধা থেকে দলের সেনাপতি নির্বাচিত করলেন। অভিষেক এখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তরে গতকাল শনিবার আয়োজিত তৃণমূলের জাতীয় কার্য সমিতির বৈঠকে মমতা দলের নেতৃত্বের এ পরিবর্তন আনেন। সেখানেই মমতা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে বসান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এ ছাড়া মমতা দলের নারী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করেছেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। কৃষক ও মজদুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন পূর্ণেন্দু বসু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গজননী শাখার প্রধান করেন মালা রায়কে। সাংস্কৃতিক সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। আর রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। এ ছাড়া শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইএনটিটিইউসির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দোলা সেন। অন্যদিকে রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বেচারাম মান্না ও অসীম মাজি।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দল আমাকে আজ যে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে, তা আমি বিনীত¤চিত্তে গ্রহণ করছি। আজকের এ কঠিন যুদ্ধে দলের সৈনিকেরা যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে বাংলাকে জয়যুক্ত করেছেন , সে জন্য আমি তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
২০১১ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৩ বছর। ২০১৪ সালে তিনি ডায়মন্ডহারবার আসনে প্রথম সাংসদ হন। আর ২০১৯ সালে তিনি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হন। এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই ছিলেন মমতার প্রধান প্রচারসঙ্গী।