আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গোসল সেরে গা মোছার তোয়ালে চেয়েছিলেন রাজকুমার। কিন্তু স্ত্রী পুষ্পা জানিয়ে দেন, তোয়ালে দিতে দেরি হবে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে দেন তিনি। বেলচা দিয়ে সজোরে আঘাত করেন স্ত্রীর মাথায়, মৃত্যু হয় পুষ্পার। এ ঘটনায় রাজকুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার হীরাপুর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাজকুমার দিনমজুরের কাজ করত। প্রায় সময় তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। ছোটোখাটো কারণে অল্পতেই রেগে যেতেন রাজকুমার। রাজকুমারের ২৩ বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে গোসল করতে যান রাজকুমার বাহে। বাথরুম থেকেই স্ত্রী পুষ্পা বাইয়ের কাছে গা মোছার তোয়ালে চান। পুষ্পা তোয়ালে দিতে দেরি হবে জানালে রেগে যান রাজকুমার। বাথরুম থেকে বেরিয়ে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে দেন তিনি। মেয়ে বাধা দিতে এলে তাকেও সরিয়ে দেন। উল্টো মেয়েকে মারার হুমকি দেন।
ভয়ে মেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের বাসিন্দাদের জড়ো হন। পরে স্থানীয়রাই রাজকুমারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
গুরুতর জখম অবস্থায় পুষ্পাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত রাজকুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।