অর্থনীতি ডেস্ক:
ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তির মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়ছে। পাশাপাশি নবায়ন হচ্ছে বিদ্যুতের ট্যারিফ। বর্ধিত সময়ের জন্য ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় হবে ৪,১৮৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি বিদ্যুৎখাত সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই চুক্তির আওতায় ভারতের ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) থেকে এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভায়পার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন)-এর মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য এনভিভিএন এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)-এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) স্বাক্ষর হয়।
সূত্র জানায়, ভারতীয় প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এনভিভিএন-এর মাধ্যমে টিএসইসিএল থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে এনভিভিএন এবং বাবিউবো’র মধ্যে ট্যারিফ নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ ৩ বছর থেকে ৫ বছর বাড়ানোর বিষয়ে বাবিউবো’র বিদ্যুৎ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ভারতীয় প্রস্তাবের বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধন) এর ধারা ৬(২) অনুযায়ী বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং দরকষাকষির মাধ্যমে নির্ধারিত ট্যারিফে চূড়ান্ত করা দরপ্রস্তাব অনুমোদনের লক্ষ্যে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ. জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী) সম্মতি দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বাবিউবো কর্তৃক ত্রিপুরা, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ৪০০ কেভি সূর্যমনিনগর (ত্রিপুরা)-কুমিল্লা, বাংলাদেশ ট্রান্সমিশন লাইন এর মধ্যে সূর্যমনিনগর, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ সীমানা পর্যন্ত ২৪ কিলেমিটার ৩১ কিলোমিটার লাইন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বাংলাদেশ (পিজিসিআইএল) কর্তৃক নির্মিত হয়। ভারত অংশের লাইন নির্মাণের জন্য বাবিউবো এবং পিজিসিআইএল-এর মধ্যে ২০১৫ সালের মে তারিখে বাল্ক পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অব্যাহত রাখা যৌক্তিক। তাছাড়া পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ অনুযায়ী দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ১৫ শতাংশ আমদানির সংস্থান রয়েছে।
সে প্রেক্ষিতে সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত মূল চুক্তির সব শর্ত অপরিবর্তিত রেখে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১৬০ (১৬০+২০শতাংশ সর্বোচ্চ ১৯২) মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ (২০২১ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২৬ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত) ৫ বছর বাড়ানোর জন্য এনভিভিএন, ত্রিপুরা, ভারত-এর সঙ্গে ট্যারিফ প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ৭.১৩৮৫২ টাকা হিসেবে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো হলে ৫ বছরে প্রায় ৪,১৮৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সূত্র জানায়, ট্যারিফ আগের তুলনায় কম হওয়ায় বর্ধিত মেয়াদে সরকারের প্রায় ৭০৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আজ (রোববার) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।
বিএসডি /আইপি