আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শিশুদের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে এলোপাতাড়ি গুলিতে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা এই বন্দুক হামলা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির পুলিশের উপ-মুখপাত্র আর্চন ক্রাইটং রয়টার্সকে বলেছেন, গুলিতে কমপক্ষে ৩১ জন মারা গেছেন।
ডে-কেয়ার সেন্টারে নিহতদের মধ্যে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরাও রয়েছেন।নং বুয়া লামফু প্রদেশের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে ২৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া একাধিক শিক্ষক এবং একজন সাবেক পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীর গুলি এবং ছুরিকাঘাতে তারা নিহত হন। তবে ওই পুলিশ এখনো পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। হামলার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। এই হামলার পর স্কুলের বাইরে, মেঝে এবং মাঠে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সন্দেহভাজন ৩৪ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম পান্যা খামরাপ। মাদক পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর গত বছর তাকে পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার আদালতে হাজির থাকার কথা ছিল তার। ঘটনার পর সাদা রঙের ভিগো পিকআপ ট্রাকে পালিয়ে যান তিনি। পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির বাম্পারটি খুলে পড়ে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডে এ অঞ্চলের বন্দুকের মালিকানার হার বেশি। অবশ্য সরকারি হিসাব এ-ও বলছে, সেখানে বিপুলসংখ্যক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে ক্ষুব্ধ একজন সৈনিকের গুলিতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছিলেন।
বিএসডি/এফএ