বর্তমান সময় ডেস্কঃ
কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রাণী অধিকার নিশ্চিতে বিতর্কিত প্রাচীন এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়ছে দেশটির ক্ষমতাসীন পাটির পলিসি বিষয়ক প্রধান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
কোরীয় উপদ্বীপে যুগ যুগ ধরে কুকুরের মাংস খাওয়ার চল রয়েছে। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে এই অঞ্চলের মানুষ কুকুরের মাংস খেয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই চল কমে এসেছে। এখনো দেশটির নির্দিষ্ট কিছু রেস্টুরেন্টে কুকুরের মাংস বিক্রি করা হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলে আসছিল। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এই সংস্কৃতিকে বর্বরতা বলে আখ্যা দিয়ে থাকে।
ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির পলিসি বিষয়ক প্রধান ইউ উই-ডং বলেন, `কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে সামাজিক এই বিতর্ক বন্ধ করার সময় এসেছে। বিশেষ এক আইনে বিষয়টি বন্ধ করা হচ্ছে।‘
চলতি বছরই সরকার এই সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করবে বলে জানান ইউ। তিনি বলেন, কোনোরকম অপ্রত্যাশিত প্রতিবন্ধকতা না পেলে পার্লামেন্টে এই বিলটি পাস হয়ে যাবে।
দেশটির কৃষিমন্ত্রী চুং হুয়াং-কিউন বলেন, সরকার যতদ্রুত সম্ভব এই আইন পাস করবে এবং কুকুরের মাংস কেন্দ্র করে যেই বাণিজ্য গড়ে উঠেছে তাদের সহায়তা করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি বরাবরই কুকুরের মাংস ভক্ষণ করার বিরুদ্ধে। তার স্বামী প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলও তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। তারা একাধিক কুকুর পোষেন।
তবে এর আগে এই ধরনের বিল পার্লামেন্টে পাস হয়নি। বিশেষ করে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্তরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। কুকুরের খামার ও রেস্টুরেন্ট মালিকরাও নিজেদের জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই নিষেধাজ্ঞার পর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের তিন বছরের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
বিএসডি/আরপি