আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত চারদিনে গ্রিসের সান্তোরিনি ও আমোরগোস দ্বীপে দুইশরও বেশি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে পর্যটন নির্ভর দ্বীপ সান্তোরিনি ছাড়াও আমোরগোস, লোস ও আনাফির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে যাওয়া পর্যটকদের সরিয়ে নিতে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো।
এখন পর্যন্ত যেসব ভূমিকম্প হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ছিল ৪ দশমিক ৬ মাত্রার। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সান্তোরিনিতে ৪ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে।
গ্রিসের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা এজিয়ান এয়ারলাইন্স সান্তোরিনিতে সোমবার দুটি ও মঙ্গলবার একটি বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকরা যেন সরে যেতে পারেন সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
গ্রিসে তথ্য ছড়িয়েছে, সান্তোরিনি থেকে দলে দলে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। এটি অস্বীকার করে দ্বীপটির মেয়র নিকোস জোরজোস বলেছেন, যারা দ্বীপ ছাড়ছেন তাদের বেশিরভাগই মৌসুমী শ্রমিক। স্থানীয়রা নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
হেলানিক ভলকানো আর্কে অবস্থিত সান্তোরিনি নামের এ দ্বীপটি। সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর দ্বীপটিতে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ ঘুরতে যান। এছাড়া দ্বীপটির ২০ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে।
হেলানিক ভলকানো আর্ক ইউরোপের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল। সেখানে গত ৪ লাখ বছরে ১০০টিরও বেশি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে।
সান্তোরিনিতে সর্বশেষবার বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হয় ১৯৫৬ সালে। সেবার দ্বীপটি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। এরপ্রভাবে সৃষ্টি হয় ৮০ ফুট উঁচু সুনামি। ভূমিকম্প ও সুনামিতে সে বছর দ্বীপটিতে ৫৩ জন মারা যান।
এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেট নড়াচড়ার কারণে সেখানে এত বেশি ভূমিকম্প হচ্ছে। এ মুহূর্তে কোনো আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০১১ ও ২০১২ সালেও সেখানে ভূমিকম্পের সংখ্যা বেড়েছিল। কিন্তু কোনো ধরনের অগ্ন্যুৎপাত হয়নি।
সূত্র: সিএনএন