নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার মরদেহ তার জন্মস্থান গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের পাশে সমাহিত করা হবে। এজন্য সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বি মিয়া ও মেয়ে ফাজানা রাব্বি বুবলি এতথ্য জানান।
ঢাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে সোমবার দুপুর ১টা ৪০মিনিটে তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছবে। সেখান থেকে তার মরদেহ সর্বসাধারণে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ২টা ১০ মিনিটে রাখা হবে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় সাঘাটা উপজেলার গটিয়া নিজ গ্রামে জানাজা হবে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উপ-সচিব ও ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব মো. আব্দুর মালেক স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এতথ্য জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমেরিকার মাইন্ট সাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফজলে রাব্বি মিয়া। বার্ধক্যজনিতসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মাস ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামের বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহন করেন। পেশায় আইনজীবী মো. ফজলে রাব্বি মিয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
তিনি জাতীয় সংসদের পরপর দুইবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন।
এদিকে, একজন সাহসী ও বর্ষিয়ান নেতার মৃত্যুতে গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।