বিনোদন ডেস্ক:
১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন সাদেক বাচ্চু। তার আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। কর্মজীবনের দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকুরীর ডাক বিভাগের কর্মরত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন অভিনয়ে।
পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায় ছিল তার পদচারণ। ১৯৬৩ বেতারে ‘খেলাঘর’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন।
১৯৮৪ সালে ‘মতিঝিল থিয়েটার’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। দলটির হয়ে আমৃত্যু নাটক রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় করছেন তিনি। ‘কাফনের পকেট নাই’, ‘কুলাঙ্গার’ ও ‘ক্যাপ’ তার রচিত ও নির্দেশিত নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
১৯৭৪ সালে আব্দুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযোজিত ‘প্রথম অঙ্গীকার’ নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন সাদেক বাচ্চু। ‘ঝুমকা’, ‘পূর্ব রাত্রি পূর্বদিন’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘জোনাকী জ্বলে’, ‘গ্রন্থিক গণ কহে’সহ এক হাজারের বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।
রেডিও, মঞ্চ আর টেলিভিশনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ অভিনেতা ১৯৮৫ সালে নাম লেখান চলচ্চিত্রে। ১৯৮৫ সালে ‘রামের সুমতি’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। খল চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন ‘সুখের সন্ধানে’ সিনেমা দিয়ে।
নব্বই দশকে খ্যাতনামা নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ সিনেমায় অভিনয়ের পর দেশজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গুণী এই অভিনেতার। এছাড়াও ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’, ‘জীবননদীর তীরে’, ‘ঢাকা টু বোম্বে’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘এক জবান’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘বধূবরণ’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘প্রিয়জন’, ‘সুজন সখি’, ‘বিদ্রোহী, ‘এক পৃথিবী প্রেম’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’, ‘পিতা মাতার আমানত’সহ পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু।
নানা সম্মাননার পাশাপাশি ২০১৮ সালে ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় অভিনয়ের কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন সাদেক বাচ্চু। সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর।