নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর বাউফলে বেশি যাত্রী পাওয়ার আশায় দুই লঞ্চের লড়াইয়ের কারণে টার্মিনালে অপেক্ষমান নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত মারজিয়া (২) নামের এক শিশুকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন মেহেদি হাসান (৩২), আসরাফ (৫০), রোজিনা (৩২), রিমা (২২), সজিব (২০), ডলি (১৬) ও দেড় বছরের শিশু জিনিয়া। আহত অন্যান্যদের নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি যাত্রীরা।
রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকাগামী এমবি ধুলিয়া-১ ও এমভি বন্ধন-৫ নামের দুটি লঞ্চ প্রতিযোগিতা করে বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট টার্মিনালে ভিড়ানোর কালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় ধুলিয়া লঞ্চঘাটে প্রায় শতাধিক যাত্রী অবস্থান করছিলেন। এসময় ঢাকাগামী লঞ্চ দুটি প্রতিযোগিতা করে এসে টার্মিনালে সজোরে ধাক্কা মারে। হঠাৎ দুটি লঞ্চের প্রচণ্ড ধাক্কায় টার্মিনালের অপেক্ষমান যাত্রীরা ছিটকে যায়। যাত্রীদের এ দুরাবস্থা দেখে লঞ্চ দুটি দ্রুত ওই ঘাট থেকে সটকে পড়ে।
আহত যাত্রী মেহেদি হাসান জানান, প্রতিযোগিতার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমার মেয়ে মারজিয়া, আমি এবং আমার বাবা আহত হয়েছি। মেয়ে মারজিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাচ্ছি।
অপর যাত্রী রোজিনা জানান, লঞ্চ দুটি এমনভাবে এসে ধাক্কা মেরেছে একবারে দুরে ছিটকে গিয়ে পড়েছি। অনেকেই আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই দুই লঞ্চের মালিক এবং সুপারভাইজারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
রাতে বাউফল থানার ওসি আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে তার আগেই লঞ্চ দুটি সটকে পড়েছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএসডি/ফয়সাল