নিজস্ব প্রতিবেদক:
হবিগঞ্জে ১৮ জুন থেকে বন্যা দেখা দেয়। জেলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৮৮টি গ্রামের ২০ হাজার ৮৯০ জন গ্রাহক বর্তমানে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। এর মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলার ৫৬টি গ্রামের ১৭ হাজার ৪০০, বানিয়াচংয়ের ৪৯টি গ্রামের ২ হাজার, বাহুবলের ৪০টি গ্রামের ১ হাজার, লাখাইয়ের ৩২টি গ্রামের ৩৫০, সদরের ৭টি গ্রামের ৮০ জন এবং আজমিরীগঞ্জের ৪টি গ্রামের ৬০ জন গ্রাহক আছেন। তবে এলাকাবাসীর দাবি এর দ্বিগুণসংখ্যক গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামের মনির মিয়া বলেন, রাত হলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। বর্ষার সময় ডাকাতির আশঙ্কা আছে। এ কারণে রাতে গ্রামবাসীদের পালাক্রমে পাহারা দিতে হয়।
একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের তরুণী প্রীতি দাস বলেন, পানির দুর্ভোগ যেমন-তেমন। রাত্রের অন্ধকারের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আরও ভয়ংকর। এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের রুবেল হাসান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় তাঁর মতো শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় রাতে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হচ্ছে।
সরবরাহ চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মোতাহার হোসেন বলেন, জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় সরবরাহ বন্ধ আছে। আশা করছেন পানি কমলে সরবরাহ চালু হবে।
বিএসডি/ফয়সাল