ধর্ম ডেস্ক,
মহান আল্লাহতায়ালা একমাত্র মালিক যিনি সর্বশক্তিমান, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা। সমস্ত মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করার জন্য। দুনিয়াটা মেহনতের জায়গা। ঈমান-আমল-নেকির মাধ্যমে দুনিয়ায় মেহনত করে আল্লাহতায়ালার ফায়সালার মাধ্যমে আখেরাতে জান্নাত পাওয়া যাবে।
তবে মাঝে মাঝে মহান আল্লাহ পাক তার বান্দাদের পরীক্ষা নেন। এতে মুমিন ব্যক্তি কখনো আতঙ্কিত হয়না। সে সর্বদা মহান আল্লাহর ফয়সালা ও সিদ্ধান্তের ওপর সমর্পিত থাকে। বিশেষ করে বান্দা যখন আল্লাহ তায়ালার হুকুম মেনে চলে তবে তার জীবন হয় চিন্তামুক্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সুরা ইউনুস :৬২)
রাসূল (সা.) বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি মহামারিতে পতিত হয় এবং নেকির আশায় সে ধৈর্য সহকারে সেখানে অবস্থান করে এবং এ বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ তায়ালার হুকুম ব্যতীত কিছুই হয় না, তাহলে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করে। (সহিহ বুখারি :৫৪০২)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনই সকাল হলে ও সন্ধ্যা হলে এই দোয়া পড়া ছাড়তেন না (সর্বদা তিনি সকালে ও সন্ধ্যায় এগুলো বলতেন), ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফি দ্বীনি ওয়া দুনইয়াইয়া, ওয়া আহলি ওয়া মা-লি। আল্লাহুম্মাস তুর আউরাতি ওয়া আ-মিন রাউআতি। আল্লাহুম্মাহ ফাযনি মিম বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাউকি। ওয়া আউযু বিআযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতি’।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ইহকালে ও পরকালে নিরাপত্তা চাচ্ছি। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার ধর্ম ও পার্থিব জীবনে এবং পরিবার ও সম্পদে ক্ষমা ও নিরাপত্তা ভিক্ষা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার লজ্জাকর বিষয়সমূহ গোপন করে নাও এবং আমার ভীতিতে নিরাপত্তা দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার সম্মুখ ও পশ্চাৎ, ডান ও বাম এবং উপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ কর। আর আমি তোমার মাহাত্ম্যের উসিলায় আমার নিচে ভূমিধ্বস থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (মুসনাদ আহমাদ : ২/২৫; ইবনে মাজা : ২/১২৭৩; মুসতাদরাক হাকেম : ১/৬৯৮; মাওয়ারিদুয যামআন : ৭/৩৮১-৩৮৩; সহিহুত তারগিব : ১/৩৪৩)
বিএসডি/আইপি