নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ-আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানটিতে ৬৪ জন আরোহী ছিলেন এবং এই ঘটনায় আরও বেশি প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মাঝ-আকাশে বিপর্যয়কর এই দুর্ঘটনায় টুকরো টুকরো হয়ে গেছে যাত্রীবাহী এই বিমানটি, আর মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওই হেলিকপ্টার রয়েছে অনেকটাই অক্ষত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ-আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে বলে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে।
নদীর ওপরে ঘটা এই দুর্ঘটনার পর বিধ্বস্ত বিমানটি এখন পানির ৫-৮ ফুট (১৫২-২৪৩ সেমি) গভীরে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। ডুবুরি দল বিমানের দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি খুঁজে পেয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ডুবুরিদের দল বিধ্বস্ত বিমানের কেবিনের কিছু অংশে প্রবেশ করতে পেরেছে এবং তারা এখন পর্যন্ত যেসব জিনিস উদ্ধার করেছে তার মধ্যে লাগেজও রয়েছে বলে সিবিএস নিউজ রিপোর্ট করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে হেলিকপ্টারটি উল্টে গেছে তবে তার বেশিরভাগই অক্ষত আছে বলে মনে হচ্ছে।
তদন্তকারীরা ওয়াশিংটন ডিসি এয়ারস্পেসে পাইলটের অভিজ্ঞতাও পরীক্ষা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে কারণ এখানে অবতরণের অ্যাপ্রোচ ও চারপাশে উড্ডয়নের সময় হেলিকপ্টারগুলো ২০০ ফুট (৬০.৯ মিটার) নিচে থাকার কথা।
সিবিএস জানাচ্ছে, দুর্ঘটনায় জড়িত সামরিক হেলিকপ্টারটি ছিল একটি ইউএস আর্মির ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, যেটি মূলত প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হেলিকপ্টারটিতে কোনও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সেখানে সমস্ত ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিমানগুলোকে ২৮ মাইল দূরের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে “ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা” বলে বর্ণনা করেছেন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর “অসাধারণ কাজের” জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সহায়তা দেবে।