লকডাউনে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। অফিস স্টাফদের যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও জারি রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তো দূরের কথা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সেই নির্দেশনা পালন করছে না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গণপরিবহন বন্ধের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীতে হেঁটেই অফিসে যেতে দেখা যায় বহু মানুষকে।
সকালে নগরীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, খিলগাঁও রেলগেট, শাহজাহানপুর, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন না পেয়ে এসব এলাকার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। নগরীতে চলাচলকারী গণপরিবহন রিকশার ভাড়া কয়েকগুণ বেশি। এ সময় দুই একটি স্টাফ বাসে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেলেও তা ছিল খুবই কম। অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা করেনি।
খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষকে সকালে অফিস সময়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কর্মস্থলে যোগ দিতেই তাদের এই অপেক্ষা। বিপুল সংখ্যক রিকশা দেখা গেলেও খালি পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়াও গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ। বাধ্য হয়ে হেঁটে অফিসে যাত্রা দিতে হয়েছে তাদের।
খিলগাঁও রেলগেটে কথা হয় জনতা ব্যাংকের মতিলিঝ শাখার কর্মচারী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অফিসে যেতে বের হয়েছি। রিকশার অভাব নেই। কিন্তু যাত্রীতে সব ভর্তি। এক-দুইটা খালি পাওয়া গেলেও ভাড়া চাচ্ছে দুই গুণ। লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে দেখেছি অফিসগুলো নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কেউ করেনি। এখন হাঁটা শুরু করেছি, আধা ঘণ্টা হাঁটলে অফিসে চলে যেতে পারবো।’
তুবা রহমান নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে মালিবাগ রেলগেট এলাকায় রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বাস তো নেই। ৪০ মিনিটের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। খালি কোনও রিকশা পাচ্ছি না। দাম বলে অনেক বেশি। কী করবো বুঝতে পারছি না।’মিরপুর ১০ নম্বরের চিত্রও একই দেখা গেছে। অফিসে যাওয়ার জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার জন্যে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কর্মজীবী এসব মানুষের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা করেনি। ফলে বাধ্য হয়েই দুর্ভোগ ও ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে।’