নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার স্ত্রী হযরত হাজেরা এবং তাদের প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) এর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সামনে সমাগত। ঈদুল আজহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আল্লাহর উদ্দেশে সবকিছু ত্যাগ করে দেওয়ার চেতনা আমাদের মনে জাগ্রত করে। সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুরবানি আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়। ত্যাগ ও কুরবানির মানসিকতা নিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ন্যায় এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেলেও দেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। তারা বিদেশে বসে এবং দেশের ঘাপটিমেরে লুকিয়ে থেকে দেশে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেই যাচ্ছে। দেশে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হতে পারে সেজন্য নানাভাবে বিতর্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং দেশবিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবিক বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আমরা হযরত ইব্রাহিম (আ.) এবং তার স্ত্রী হযরত হাজেরা ও তাদের পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) এর মহান ত্যাগের ইতিহাস গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তাদের সেই ত্যাগের মহিমায় আমরাও যদি আল্লাহর এ জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য নিজেদের জানমাল ও প্রিয় বস্তুকে কুরবানি করতে পারি, তাহলেই আমাদের যাবতীয় ত্যাগ-কুরবানি আল্লাহর নিকট কবুল ও সার্থক হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশবাসীর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবনের জন্য আল্লাহর নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি এবং দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আমার নিজের এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।