নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ উদ্বেগ জানায়।
বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য-সচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, কুমিল্লায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা এবং উৎসবের সময় এবং এর জের ধরে পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসব হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত। একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী সম্প্রীতি ও বাঙালি সংস্কৃতির বহুত্ববাদকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, ষড়যন্ত্রকারী দুর্বৃত্তের সংখ্যা বেশি নয় এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই পারে তাদের অপকর্ম রুখে দিতে। এ দেশের অতীত অভিজ্ঞতা সেটিই প্রমাণ করেছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, জাতির পিতার আহ্বানে মহান একাত্তরে দেশের মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।
সকল ধর্মবিশ্বাসী বাঙ্গালির মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চিরতরে রুখে দেওয়ার জন্য সরকারের পাশাপাশি সব মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য-সচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ছাড়াও বিবৃতিতে সই করেন, আরমা দত্ত, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, ডা. কামরুল হাসান খান, আ ব ম ফারুক, মেজর জেনারেল (অব.) জন গোমেজ, অশোক বড়ুয়া, এ কে এম আতিকুর রহমান, মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. নুজহাত চৌধুরী, মিহির কান্তি ঘোষাল, অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার, অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, তাপস হালদার, সলিমউল্লাহ সেলিম, বরুণ ভৌমিক নয়ন, কল্যাণ সাহা, শামসুল আলম সেতু, সিদ্দিকুর রহমান, কুদ্দুস আফ্রাদ, আশরাফ আলী, সাইফ আহমেদ, বিপ্লব পাল, অনয় মুখার্জী, শফিক রেঞ্জার, আনিসুজ্জামান মানিক, অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার প্রমুখ।
বিএসডি / আইপি