বর্তমান সময় ডেস্ক,
আগামী ৬ মাসের মধ্যে করোনার টিকা প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সহায়তা নিয়ে দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আমরা যদি স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদন করি তাহলে রয়্যালটি দিয়েও দাম পড়বে আধা ডলার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিন তৈরি নিউক্লিয়াস সাইন্সের বিষয় নয়। আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে কিন্তু বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আজকে কিউবা ও ইরান নিজেরা নিজেদের ভ্যাকসিন তৈরি করে। তাদের সাহায্য করেছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, আমি দেড় বছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, অন্যের স্তুতিতে না নেচে এদেশের সব নাগরিককে দলমত নির্বিশেষে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। ট্রিপসের আইনানুসারে কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্র যদি জনস্বার্থে কোনো টেকনোলজি চায় সে কোম্পানি তা দিতে বাধ্য। এর বিনিময়ে তারা একটি রয়্যালটি পাবেন।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন উৎপাদন করার প্রয়োজন রয়েছে। আগেও বলেছি প্রফেসর ডা. আজাদ চৌধুরী, ডা. নজরুল ইসলামের মতো আরো যে দুই-চারজন মানুষ রয়েছেন, তাদের নিয়ে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বক্তৃতা না দিয়ে প্রকৃত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যদি এ কাজটা করেন তাহলে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, আকাশ-কুসুম চিন্তা না করে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করবো। এক্ষেত্রে চীন বা রাশিয়ার সহায়তায় কিউবা ও ইরানের মতো আমাদেরও উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের দাম চীনেরটা ১০ ডলার, মডার্না ও ফাইজারের দাম ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত। সে কারণে নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে, আমরা যে টিকা দেই সেটা শূন্য দশমিক ৫ এমএলের পরিবর্তে যদি শূন্য দশমিক ১ এমএল বা বর্তমানে যতটুকু দেই তার ৫ শতাংশের ১ শংতাংশ দিয়েও সমপরিমাণ লাভ হতে পারে। এটা যদি হয়, তাহলে ১০ ডলারের ভ্যাকসিন ২ ডলারে চলে আসবে। আর আমরা যদি ভ্যাকসিন উৎপাদন করি তাহলে রয়্যালটি দিয়েও দাম পড়বে আধা ডলার।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গণবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা অংশ নেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রফেসর ড. বিজন কুমার শীল।
বিএসডি/আইপি