সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে ২০ লাখ হেক্টর লবণাক্ত জমি রয়েছে, যেখানে বছরে একটি ফসল হয়। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে ও ভবিষ্যতে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে লবণাক্ত, হাওরসহ প্রতিকূল এলাকায় বছরে দু-তিনটি ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের ফলে প্রতিকূল পরিবেশ–সহিষ্ণু ধানের ফলন সহজতর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিবিজ্ঞানীরা বলেন, বিনা ও বাকৃবির যৌথ গবেষণায় বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে অর্ধলক্ষাধিক মিউট্যান্ট (রূপান্তরিত কোষ) সৃষ্টি করা হয়। এরপর সেগুলো থেকে নানামুখী পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে এমজি জেনারেশনে (রূপান্তরিত কোষগুলো যাচাই–বাছাই করে) তিনটি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত মিউট্যান্টগুলো মাতৃগাছের জাতের চেয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন জাতটি ৮ ডিএস/এম (মাটিতে ৮ মাত্রার লবণাক্ততা প্রতিরোধ করতে পারবে) এবং ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকর উপায় লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন। এ লক্ষ্যে মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন।
বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।