চট্টগ্রাম টেস্টে যখন যখন ফিফটি ছুঁলেন, ব্যাট উঁচিয়ে সতীর্থদের অভিবাদনের জবাব দেননি লিটন দাস। করেননি কোন উদযাপন। একবারে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ব্যাট-হেলমেট উঁচিয়ে উদযাপন করেন তিনি। লিটনের সাড়ে ৬ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটিই প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। পরের ইনিংসে মাঠে নেমেই যে আবার শতক করতে পারবেন, সে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটন বললেন, ‘সবাই চেষ্টা করেছে ধারাবাহিক হওয়ার জন্য। আমি কতটুকু দিতে পারব, ফলাফল কতটুকু হবে জানি না কিন্তু আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। গত ছয়-সাত টেস্ট ধরে করে আসছি। একশ করেছি দেখে পরের দিন নামলে যে আবার একশ হবে তেমনটা না। টেস্ট ক্রিকেট অনেক কঠিন। শূন্য থেকে শুরু করতে হয়, সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। তো কঠিন এটা। আমি চেষ্টা করব যেভাবে গত ছয়-সাত টেস্টে খেলেছি সেভাবে খেলার জন্য।’
সাদা পোশাকে এর আগে ২৪ টেস্টে ৪২ বার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন লিটন। যেখানে দুবার নড়বড়ে নব্বইয়ে থামেন তিনি। ফিফটি আছে ৯টি। এবার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তবে নিজের ইনিংস পরে আর টানতে পারেননি। ১১৪ রানে থামেন লিটন।
নিজের সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘অনুভূতি তো সব সময় ভালো। কোন ব্যাটসম্যান যদি সেঞ্চুরি করে তার থেকে বড় কিছু থাকে না পাওয়ার। গত দুই-তিনটি খেলায় আমি কাছাকাছি ছিলাম, জিম্বাবুয়েতে কাছাকাছি ছিলাম কিন্তু হয়নি। এটা ক্রিকেটের অংশ। এখন সেঞ্চুরি করেছি ভালো লাগছে। কিন্তু এটা যদি আরেকটু বড় করতে পারতাম তাহলে হয়তো দলের জন্য ভালো হতো।’
সঙ্গে যোগ করেন লিটন, ‘বিশ্বকাপের পর জাতীয় লিগে আমি একটা ম্যাচ খেলেছি। প্রস্তুতি নিয়েছি যে সামনে টেস্ট ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য যেটুকু প্রস্তুতি দরকার সেটুকু প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এর থেকে বাইরে কোন কিছু চিন্তাও করিনি, অতিরিক্ত কোন কিছু চাইও নাই নিজের কাছে।’
বিএসডি/এসএসএ