স্পোর্টস ডেস্ক-
সিরিজের শুরুতেই আমূল বদল এসেছিল ইংল্যান্ড দলে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ায় পুরো ইংল্যান্ড দলকে পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে, ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষণা করা হয় দ্বিতীয় সারির এক দল। সেই দলটাই কিনা হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তানকে! প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৩ উইকেটে।
বার্মিংহ্যামে পাকিস্তান তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বড় চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দেয়। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন বাবর আজম। কিন্তু জেমস ভিন্সের সেঞ্চুরির সামনে সে লক্ষ্যটা ছোটই মনে হচ্ছিল। প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তান শুরুটা করেছিল বেশ সতর্ক। পঞ্চম ওভারে ফখর জামানকে হারালেও এরপর ইমাম উল হক আর বাবর আজমের কল্যাণে শক্ত ভিত পায় পাকিস্তান। ২৬তম ওভারে শেন ওয়ার্নকে মনে করিয়ে দেওয়া ম্যাট পারকিন্সনের দারুণ এক বলে ইমাম ফেরেন ৭৩ বলে ৫৬ রান করে। দলের রান তখন মাত্র ১১৩। এরপরই শুরু পাকিস্তানের প্রতি আক্রমণের। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে মিলে বাবর আজমের জুটি পরের ২০ ওভারে যোগ করে ১৭৯ রান, দু’জনে গড়ে ফেলেন ইংলিশদের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি। এরপর পাকিস্তান অধিনায়ক ১০৪ বলে ছুঁয়ে ফেলেন শতকের মাইলফলক। ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরির পর থামেননি, ১৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ক্ষান্ত হয়েছেন, বনে গেছেন দেড়শ ছোঁয়া প্রথম পাক অধিনায়ক। গড়ে ফেলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের কীর্তিও।
এর আগে ৪৬তম ওভারে রিজওয়ানকে ফেরান ব্রাইডন কার্স। ফেরার আগে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান খেলেন ৫৮ বলে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। দ্রুত রান তোলার তাড়ায় এরপর পাকিস্তান উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে, তাতে ইনিংস শেষ হয়েছে নয় উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রানে। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই যখন হাসান আলির শিকার হয়ে দাভিদ মালান ফেরেন শূন্য রানে, পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল ভালোভাবেই। ফিল সল্টের উইলো অবশ্য সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠার ইঙ্গিতই দিচ্ছিল অপর প্রান্তে। ২২ বলে ৩৭ রান করা সেই তাকে ফেরান হারিস রউফ। তিনিই পরে জ্যাক ক্রলিকেও দেখান সাজঘরের পথ। ইংল্যান্ড তখন ১০৪ রানে দাঁড়িয়ে।
এরপর স্টোকস ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আভাস দিচ্ছিলেন। ২৮ বলে ৩২ করে তিনিও থামেন শাদাব খানের বলে। এর কিছু পরেই জন সিম্পসনকে হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। ১৬৯ রানে ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে এরপর কক্ষপথে ফেরায় জেমস ভিন্সের সঙ্গে লুইস গ্রেগরির ১২৯ রানের জুটি। সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ভিন্স ফেরেন, এর কিছু পরেই ফেরেন গ্রেগরিও। তাতে পাকিস্তানের আশা বাড়ে পাল্লা দিয়ে।
কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি দিয়ে এর পরের কাজটা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেন ক্রেইগ ওভারটন ও কার্স। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ে দ্বিতীয় সারির ইংল্যান্ড। এর ফলে ওয়ানডে সুপার লিগের ৩০ পয়েন্টও নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির।
বিএসডি/এমএম