বিনোদন ডেস্ক:
পেশা ও ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে হরহামেশাই খবরের শিরোনামে থাকেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এবার তাকে ঘিরে চর্চার বিষয়, ধূমপান। ছোটবেলা থেকেই ধূমপান করেন তিনি। এই অভ্যাসের কারণে শারীরিকভাবেও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অভিনেত্রী। তাই এবার ধূমপান ছাড়তে চান তিনি।
শ্রীলেখা বলেন, ‘কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। গলায় সারাক্ষণ অস্বস্তি। দম নিতেও কষ্ট হচ্ছে। সারাক্ষণ বুকে যেন চাপ ধরা ভাব। ফুসফুসে যেন বাতাসের অভাব! চিকিৎসকের কাছে গেলেই সবার আগে ধূমপান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তাই নিজেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নবম-দশম শ্রেণি থেকেই ধূমপান শুরু করেন শ্রীলেখা। তিনি নিজেই জানিয়েছেন সেই গল্প। প্রথম দিকে বাবা সন্তোষ মিত্রের ঘর থেকে সিগারেট চুরি করে খেতেন। তার ভাষ্য, ‘সেই প্রথম সুখটান। মনে হয়েছিল যেন স্বর্গ সুখ! সেই সুখ এখন অ-সুখের কারণ হয়েছে!’
লুকিয়ে ধূমপানের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শ্রীলেখা বলেন, ‘আমার ঘরের ফুলদানিতে ছাই ফেলতাম। তার পরে নিজের গায়ে, ঘরে ছড়িয়ে দিতাম সুগন্ধি। বাবা যাতে কিছুতেই টের না পান।’
একদা শুটিংয়ের ফাঁকে ধূমপান করছিলেন শ্রীলেখা। সেটা দেখে ফেলেন তার বাবা। ব্যাস, বাড়িতে যাওয়ার পর তুমুল কাণ্ড। ধূমপানের জন্য বাবার হাতে মার পর্যন্ত খেয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ছাড়তে আর পারেননি।
শ্রীলেখা সিগারেটের নেশায় এতো বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, ফুলশয্যার রাতেও তিনি সিগারেট খেয়েছেন। স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের (এখন প্রাক্তন) সঙ্গে সিগারেট ফুঁকে ও সিনেমা দেখে বাসর রাত কাটিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আরও মজার ব্যাপার হলো, সেই রাতে সমস্ত সিগারেট শেষ হওয়ার পর শ্বশুরের ঘর থেকে সিগারেট চুরি করে এনেছিলেন!
দীর্ঘ দিনের সেই নেশা, অভ্যাস এবার পরিবর্তন করতে চান শ্রীলেখা। কিন্তু দেখার বিষয়, কতদিন সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেন।