আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে তাঁর নিজের সংসদীয় আসনে পরাজিত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ইমরান খান। এরপর তিনি সিন্ধুতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে দেখে নেওয়ার কথা বলেছেন।
চলমান লংমার্চে সেনাবাহিনীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, শক্তিধরদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন নওয়াজ শরিফ। গতকাল তাঁর এ বক্তব্যের পর কড়া নিন্দা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন জোট সরকার।
মঙ্গলবার গুজরানওয়ালায় লংমার্চে বক্তব্য রাখেন ইমরান। সেখানে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহসভাপতি আসিফ আলী জারদারিকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমি আপনার সিন্ধুতে আসছি। সিন্ধুর মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো মুক্তি, স্বাধীনতা।
ইমরান আরও বলেন, নওয়াজ শরিফ আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- যখন দেশে আসবেন, তখন আপনার আসনে আপনাকে আমি পরাজিত করব। ওদিকে ইমরান খানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী লংমার্চের নতুন শিডিউল ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার তাঁদের লংমার্চ অবস্থান করছিল গুজরানওয়ালায়। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী তা রোববার ইসলামাবাদে পৌঁছতে সক্ষম হবে না বলে জানিয়েছেন ফাওয়াদ চৌধুরী। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দলটি।
এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) তালাল চৌধুরী বলেছেন, ইমরান খান চাইছেন দেশে সামরিক শাসন আসুক। তাঁর এই খায়েশ পূরণ হবে না। সামরিক শাসন নিয়ে ইমরান খানের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন শেরি রেহমান। মরিয়ম নওয়াজ অভিযোগ করেছেন দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চান ইমরান।
অন্যদিকে সম্প্রতি তোষাখানা মামলায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছেন ইমরান। কিন্তু যেসব আসনে তিনি জিতেছিলেন, সেগুলোতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মিয়ানওয়ালি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমনই একটি আসন। সম্প্রতি সেই আসনে উপনির্বাচনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বিএসডি/এফএ