বর্তমান সময় ডেস্কঃ
নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিমান্ড শেষে তারা এখন কারাগারে রয়েছেন। এই ৪ জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের নেতারা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মেলিত শিক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে ‘পরিকল্পিত শিক্ষা ধ্বংসের সংক্ষিপ্ত কালপঞ্জি ১৯৭২-২০২২’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক রাহুল রাহা বলেন, তারা (গ্রেপ্তার ৪ জন) কোনো চুরি ডাকাতি বা কারো সম্পত্তি লুট করেনি। তারা কোনো ব্যাংক ডাকাতি করেনি। তাহলে কেন গ্রেপ্তার করা হলো? নতুন কারিকুলামে নামে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের যে নীল নকশা করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে সাধারণ ধারার শিক্ষা ধ্বংসকারী নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবি জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা থেকে তিনজন এবং টাঙ্গাইল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন— আবুল হাসনাত কবির (৫১), গোলাম রাব্বী (৩৭), জাহাঙ্গীর কবির ও কাজী পনির।
এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে রাহুল রাহা ১৯৭২ থেকে ২০২২ সালের মে কয়টি কারিকুলাম ও পদ্ধতি চালু ছিল তার একটি তুলনামূলক পার্থক্য ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন এখন পর্যন্ত যে কয়টি কারিকুলাম বাস্তবায়িত হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ এবং বাস্তবতাবিবর্জিত কারিকুলাম হলো নতুন কারিকুলাম। এই কারিকুলাম ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী বের হবে, যারা ভালো কেরানী-কামলা তৈরি হবে এবং দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে রেমিট্যান্স ও কর্মপ্রবাহ চাঙ্গা রাখতে পারবে। নতুন কারিকুলামের ফলে দেশে নিম্নমানের প্রচুর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সৃষ্টি হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাবে।
সেমিনারে অর্ধ-শতাব্দীর বাংলাদেশের শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের কিছু আয়োজনের ভেতরের চিত্র দেখিয়ে বলা হয়, যা সাদা চোখে দেখা যায় তা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে যিনি দেখতে বলেন, তার ভিন্ন ধান্দা আছে, এবং এই বাংলাদেশে তাদের অভাব নেই।
এসব ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
বিএসডি/আরপি