আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
আফগানিস্তানের নতুন তালেবান সরকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, নতুন এ সরকারে নারীর অংশগ্রহণ নেই। এ ছাড়া যাদের নেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন। বুধবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মঙ্গলবার তালেবানের ঘোষিত সরকারকে যাচাই করছেন তারা। তালেবানের অন্তর্বর্তী ওই সরকারের প্রধান হিসেবে রয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। তিনি জাতিসংঘের কালো তালিকাভূক্ত ব্যক্তি। এ ছাড়া হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের ‘ওয়ান্টেডে’র তালিকায় রয়েছেন।
মঙ্গলবার পৃথক ঘটনায় আফড়ানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে বিক্ষোভ চলাকালে গুলিতে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন। চিকিৎসাকর্মীরা বলছে, তালেবানরা গুলি চালালে তারা নিহত হন।
অপরদিকে কাবুলে কয়েকশ’ নারী-পুরুষের বিক্ষোভে সতর্কতামূলক গুলি চালায় তালেবান। বিক্ষোভকারীরা তালেবান সরকারে নারীর অংশগ্রহণ এবং পাকিস্তানবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এর পর থেকে কবে এবং কিভাবে গঠিত হচ্ছে তালেবানের নতুন সরকার, সে দিকে দৃষ্টি ছিল সবার।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি নতুন এ সরকারকে ‘ঠগ আর খুনিদের সারি’ বলে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে রিপাবলিকান দলের অন্য সিনেটররা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
সরকার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তালেবান আফগানিস্তানকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ ঘোষণা করেছে। এর আগেও তারা বলেছিল, তাদের শাসন গণতান্ত্রিক হবে না; ইসলামিক শরিয়ার ভিত্তিতে চলবে তাদের দেশ।
বিএসডি/এএ