নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দলগুলোর করা আবেদন যাচাইয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পেতে অন্তত ১৪৭টি দল আবেদন করে।
সোমবার (৩০ জুন) ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন- নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হাসান ভূঞা, বাজেট ও ফাইন্যান্স শাখার সিনিয়র সহাকারী সচিব মো. শামসুল হক ফৌজদার ও আরাফাত আরা, এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন, সংস্থাপন-২ শাখার সহকারী সচিব আফরোজা পারভীন, সহকারী সচিব আরাফাত আল হোসাইনী ও সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক।
আদেশে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল থেকে প্রাপ্ত আবেদনগুলো আইন বিধি মোতাবেক সুচারুরূপে সন্নিবেশ ও যাচাই-বাছাইয়ের আগে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য ছয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অফিস আদেশে তাদের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাইয়ের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইকারী কর্মকর্তাদের পাঠানো চেক লিস্ট/প্রশ্নমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের আগে প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশনসহ প্রতিবেদন তৈরি করবেন এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন (সফট কপি ও হার্ড কপিসহ) নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিবকে দেবেন।
ইসির নিবন্ধনে যে শর্ত-নিয়মাবলী
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের ইসির নিবন্ধন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর অফিস, অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন (মহানগর) থানায় কার্যালয় এবং প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। এর বাইরে নিবন্ধনের জন্য দলের গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বিধান রয়েছে। যেমন- কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা, সব পর্যায়ের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারীদের জন্য নির্ধারিত রাখা এবং পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা শ্রমিক ও অন্য কোনো পেশার সদস্যদের সমন্বয়ে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন না থাকা ইত্যাদি।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে বিদ্যমান আইন-বিধি অনুযায়ী ১০টি তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা, যা অফেরতযোগ্য। দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি, তহবিলের উৎস, দল নিবন্ধনের আবেদনকারীর ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি বাবদ অফেরতযোগ্য ট্রেজারি চালানের কপি এবং নিবন্ধনের তিনটি শর্তের মধ্যে যেকোনো একটি পূরণের প্রমাণ জমা দিতে হবে।