আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নতুন বছরের প্রথম দিনেই মালয়েশিয়ায় ১০৫ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আটককৃতদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি। এছাড়া আটককৃতদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের নাগরিকও রয়েছেন।
নতুন বছরের প্রথম দিনে গভীর রাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জোহর প্রদেশের মাসাইতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমস এবং দ্য স্টার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোহর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা নববর্ষের শুরুতে মাসাইতে শ্রমিকদের একটি কোয়ার্টারে অভিযান চালিয়ে ১০৫ বিদেশিকে আটক করেছে। এই অভিযানের কোডনাম ছিল “অপারেশন সাপু”।
অনথিভুক্ত অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে চালানো এই অভিযানে ৪৫৪ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়, যাদের মধ্যে ১০৫ জন অভিবাসন আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে খুঁজে পাওয়া যায়।
জোহর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস বলেছেন, অভিবাসীদের ‘অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচিতে’ নাম নথিভুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল যাতে তাদের স্বেচ্ছায় তাদের দেশে ফিরে যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু নাম নথিভুক্ত করার সেই সময় গতকাল (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪) মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “এখন যেহেতু সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে, অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিয়োগকর্তা, প্রাঙ্গনের মালিক বা ব্যক্তি যারা নথিবিহীন অভিবাসীদের ভাড়া বা আশ্রয় দেয় তারাও কঠোর পদক্ষেপের সম্মুখীন হবেন।”
সংবাদমাধ্যম বলছে, গভীর রাত সোয়া একটায় চালানো এই অভিযানের ফলে ১০৫ জন বিদেশিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ। এছাড়া ২৪ ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককেও আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন নারী। এর পাশাপাশি মিয়ানমারের ১৬ জন নাগরিক, একজন পাকিস্তানি পুরুষকে আটক করা হয়েছে যাদের বয়স ২০ থেকে ৫৬ বছরের মধ্যে।
রুশদি বলেন, যদিও কিছু বন্দি আলমারিসহ তাদের কেবিনের কোয়ার্টারে আঁটসাঁট জায়গায় লুকানোর চেষ্টা করেছিল এবং কেউ কেউ ছাদে উঠেছিল, কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং কর্মকর্তারা তাদের আটক করেন।