নিজস্ব প্রতিবেদক,
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা নদী খননের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। প্রায় আড়াই হাজার নতুন ও বন্ধ থাকা রুট আমরা চালু করেছি।
শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘টেকসই নদী খনন: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এক সময় ব্যবসায়ীদের জন্য বিড়ম্বনা ছিল। তাদের এ বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত করতে মোংলায় দেড়শ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হয়েছে। পায়রা বন্দর এলাকায় ৬৫ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নদী শাসন নয়, নদী ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমরা তার এ বক্তব্যের আলোকে পরিকল্পনা সাজিয়ে যাচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে শত শত ড্রেজার করে নদী খনন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্রাই, মহানন্দাসহ বিভিন্ন নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। কিন্তু এসব নদী ভারতের মধ্যে প্রবাহিত হওয়ায় আমাদের বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগছে না। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী সব সময় ভারতের সঙ্গে সংকট সৃষ্টি করে রেখেছিল। ভারতবিরোধী রাজনীতি করে তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। তারা এসব সমস্যার সমাধান করেননি। গত ১২ বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের কানেক্টিভিটি বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মহামারির এ সময়ে আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছি। এসব সীমাবদ্ধতা যদি অতিক্রম করতে না পারি তাহলে আমাদের সব পরিকল্পনা বিনিয়োগ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউ) নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার ও পিএসএ ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্রুট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) রবার্ট হেনসি।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এন কে এ মবিন।
বিএসডি/এমএম